Advertisement
E-Paper

ফের বাঘরোলকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী

মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধান। ফের তমলুকের গ্রামে ধান খেতের ধারে বাঘরোলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী। শনিবার সকালে তমলুক থানার ধলহরা গ্রামের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৯
এভাবেই পিটিয়ে মারা হয়েছে বাঘরোলকে। নিজস্ব চিত্র।

এভাবেই পিটিয়ে মারা হয়েছে বাঘরোলকে। নিজস্ব চিত্র।

মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধান। ফের তমলুকের গ্রামে ধান খেতের ধারে বাঘরোলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী। শনিবার সকালে তমলুক থানার ধলহরা গ্রামের ঘটনা।

দু’সপ্তাহ আগে এই ধলহরা গ্রামের পাশে কাশীপুর এলাকায় পান বরজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর একই এলাকায় ফের একইভাবে বাঘরোল পিটিয়ে মারার ঘটনায় বন দফতরের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বন আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘ধলহরা গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে একটি বাঘরোলকে মারার ঘটনা ঘটেছে। ওই নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করছি। বাঘরোল-সহ বিরল প্রজাতির বিভিন্ন প্রাণীদের মৃত্যু ঠেকাতে সচেতনতা প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহর সংলগ্ন ধলহরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কাশীপুর গ্রামে মাস খানেক আগে এক গ্রামবাসীকে আক্রমণ করেছিল বাঘরোল। বাসিন্দারা ওই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন বন দফতরকে। বন দফতর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে একটি লোহার খাঁচা দেওয়া হয় ওই বাঘরোল ধরার জন্য। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে খাঁচা পাতার পরও বাঘরোল ধরা পড়েনি। গত ৮ নভেম্বর রাতে কাশীপুর গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়ির লাগোয়া পান বরজের মধ্যে একটি বাঘরোলকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। জাল দিয়ে ঘিরে ওই বাঘরোলকে ধরে ফেলার পর পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।

ওই ঘটনার রেশ কাটার আগেই সে দিনের ঘটনাস্থলের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পাশের ধলহরা গ্রাম সাক্ষী রইল সেই একই ঘটনার। শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ ধলহরা গ্রামের দক্ষিনাংশে সামন্ত পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা গ্রামের ধান খেতে গিয়েছিলেন। তখন গায়ে ছোপ দাগ থাকা বাঘ জাতীয় ওই প্রাণী তাঁদের আক্রমণ করতে আসে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা বাঁশ, কাঠের টুকরো নিয়ে ওই বাঘরোলটিকে আঘাত করে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ দুর্গা সামন্ত, কাজল সামন্ত বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের বাসিন্দারা বাঘজাতীয় ওইরকম একটি প্রাণীকে মেরে ফেলেছিল। আজ আমাদের গ্রামের লোকেরাও মাঠে গেলে এরকম একটি প্রাণী আক্রমণ করতে আসে। সেসময় তাঁকে সকলে মেরে দেয়।’’ গ্রামের একাংশ বাসিন্দার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাঘজাতীয় ওই একই প্রাণীকে মেরে ফেলার পরও বন দফতর থেকে সচেতন করা হয়নি। ফলে গ্রামের কিছু মানুষের হাতে ফের একটি বাঘরোলের মৃত্যু হল।

Fishing Cat killed
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy