বাঁটুলে কেরামতি। মেদিনীপুরে অশোকনগর সর্বজনীনের মণ্ডপে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
ড্রাগন থেকে বাঁটুল দ্য গ্রেট— শিশুদের মণ্ডপে টানতে পুজোয় এ বার নয়া চমক।
মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জ সমাজবাড়ি সর্বজনীনের মণ্ডপ এ বার তৈরি হচ্ছে ড্রাগনের আদলে। পুজোর ক’দিন এই এলাকায় এলে সহজেই ঢুকে পড়া যাবে ড্রাগনের দেশে! হাতে সময় কম। তাই এখন মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তুলসী শাসমল মানছেন, “ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিতেই এই থিম। পুজোর ক’দিন এই এলাকা ড্রাগনের দেশই হয়ে উঠবে! আশা করি, পুজো দেখে খুদেরা খুব মজা পাবে।”
শহরের অশোকনগর সর্বজনীনের থিম এ বার ‘বাঁটুল দ্য গ্রেট’। নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টি বাঁটুল। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুব্রত রায়ের কথায়, “পুজো দেখে কচিকাঁচারা খুশি হলে সেটাই প্রাপ্তি।” সুব্রতবাবু বলছেন, “এই থিম সহজেই শিশুরা বুঝতে পারবে। তাদের ভাল লাগবে।”
থার্মোকল কেটে তৈরি হচ্ছে বাঁটুলের বিভিন্ন চরিত্রের মডেল। বাঁটুলের বিভিন্ন গল্প থেকেই মজার মজার বেশ কিছু চরিত্র বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। যেগুলো দেখা যাবে মণ্ডপে। যেমন, জাহাজে বসে বাঁটুলের মাছ ধরা, হেলিকপ্টার থেকে নামা, বাঘ ধরা প্রভৃতি। বাঁটুলের গল্প শোনেনি এমন ছেলেমেয়ের সংখ্যা কমই। তাই পুজো উদ্যোক্তাদের আশা, পুজো মণ্ডপের চারিদিকে বাঁটুলের নানা চরিত্র দেখে মজা পাবে খুদেরা।
উদ্যোক্তা কল্যাণময় ঘোষের কথায়, “টেলিভিশনে যে চরিত্র তারা দেখেছে, সেই চরিত্রই পুজো মণ্ডপে দেখা যাবে। একেবারে কাছাকাছি! এটা তো শিশুদের কাছে বাড়তি আকর্ষণেরই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy