Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে জল সঙ্কট

পানীয় জল নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাঁর পরিজনদের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ০১:৫৫
এই ধরনের নলকূপের জল পান করা যায় না বলে দাবি। নিজস্ব চিত্র।

এই ধরনের নলকূপের জল পান করা যায় না বলে দাবি। নিজস্ব চিত্র।

কল রয়েছে অথচ জল পড়ে না। কারণ পাইপলাইনের দফারফা। ফিডার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দোকানের বোতলবন্দি জলই ভরসা হয়ে উঠেছে রোগীদের কাছে। এটা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পানীয় জলের অব্যবস্থার ছবি।

পানীয় জল নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাঁর পরিজনদের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নিজের বিধানসভা এলাকায় হাসপাতালে পানীয় জলের এমন অব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

কাঁথি শহর সহ গোটা মহকুমায় সরকারি ভবে চিকিৎসার একমাত্র ভরসা মহকুমা সদর হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পিছাবনীর বাসিন্দা দুলাল মাইতি বলেন, ‘‘শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মাসীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু গোটা হাসপাতাল ঘুরে পানীয় জল পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে রোগীকে হাসপাতালের বাইরে দোকান থেকে জলের বোতল কিনে দিতে হচ্ছে।’’ প্রায় সব রোগী এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের এমনটাই দাবি।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে একাধিক অগভীর নলকূপ রয়েছে। কিন্তু সেগুলির জল পান করা যায় না। তা ছাড়া হাসপাতালের রোগী এবং তাঁদের সঙ্গের পরিজনদের জন্য কারিগরি দফতর পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করত। কিন্তু ওই পাইপলাইন বিভিন্ন জায়গায় নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে যে সব জায়গায় ট্যাপ কল বসানো হয়েছিল, সেখান থেকে এক ফোঁটাও জল পড়ে না বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে পানীয় জলের সমস্যা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে হাসপাতালে সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন পরিষেবার সীমার বাইরে থাকায় সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি তাদেকও অজানা নয় বলে দাবি নন্দীগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতররের।

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

করা হবে।’’

বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুধুক্ষমতা আর সরকারি অর্থ লুট করার জন্যই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা ব্যস্ত। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথা ওদের মাথায় নেই। পানীয় জলের সমস্যা অবিলম্বে না মিটলে আমরা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।’’

স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পানীয় জলের অসুবিধার কথা জানা ছিল না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।’’

Kanthi Mahakuma Hospital Water crisis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy