Advertisement
E-Paper

পাম্প খারাপ, নির্জলা পার্কে বনভোজনে বাধা

জল নেই। তাই বন্ধ পিকনিকের বুকিং। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন বন দফতরের অধীন গোপগড় পার্কের এখন এমনই হাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৩
চড়়ুইভাতির এই চেনা ছবি এখন উধাও। — নিজস্ব চিত্র।

চড়়ুইভাতির এই চেনা ছবি এখন উধাও। — নিজস্ব চিত্র।

জল নেই। তাই বন্ধ পিকনিকের বুকিং। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন বন দফতরের অধীন গোপগড় পার্কের এখন এমনই হাল।

মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “দিন কয়েক আগে পার্কের পাম্প খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে জল উঠছে না। তাই সমস্যা হয়েছে।” তাঁর কথায়, “সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। নতুন নলকূপ তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে।”

অনেকে আগে থেকেই জানুয়ারি মাসে পার্কে পিকনিকের বুকিং করে রেখেছেন। পুরনো বুকিং বাতিল করা মুশকিল। তবে নতুন করে আর পিকনিকের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে পিকনিক স্পষ্টগুলিতে ড্রামে করে জল পৌঁছে দিচ্ছেন বনকর্মীরা। বন দফতরের এক কর্তা জানান, এ ছাড়া কিছু করার নেই। আগের বুকিং তো হঠাৎ বাতিল করা যায় না। যে দিন পাম্প খারাপ হয়, সে দিন খুব সমস্যা হয়েছিল। পুরসভা জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে সহযোগিতা করে। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।

গোপপার্কে পিকনিক করতে আসা সুমনা বটব্যাল, রোনিয়া রায়দের কথায়, “পার্কে এসে জল না পেলে সমস্যা তো হবেই। জল ছাড়া রান্না হবে কী করে? পার্ক কর্তৃপক্ষ ড্রামে করে পিকনিক স্পষ্টগুলোয় জল পৌঁছে দিচ্ছেন। এটা ভাল। না হলে অনেকেই সমস্যায় পড়তেন।”

শীতের সময় মেদিনীপুরের বিভিন্ন পার্কেই পিকনিক হয়। ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে পার্কে পার্কে বেশ ভালই ভিড় থাকে। গোপপার্কের মধ্যে ৮৫টি পিকনিক স্পষ্ট রয়েছে। অথচ, ছুটির দিনে এখন এখানে ১২০- ১৩০টি দল পিকনিক করে। বন দফতরের এক কর্তার কথায়, “যান্ত্রিক ত্রুটি। তাই পাম্প বিকলে কিছু করার নেই! নতুন নলকূপ তৈরি করে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার সব রকম চেষ্টা চলছে।”

water crisis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy