দিলীপ ঘোষ ফাইল চিত্র।
গিয়েছিলেন বানভাসিদের দেখতে। আর সেখানেই স্থানীয়দের অভিযোগ শুনে মেজাজ হারালেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কাউন্সিলর কাজ করছেন না, এমন অভিযোগ শুনে ওই কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে মলত্যাগ (চলতি ভাষায়) করে আসতে বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, এমন করবেন, যেন কাউন্সিলর বাড়ি থেকে বের হতে না পারেন।
শনিবার ঘাটাল সফরের পরে রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার কথা ছিল দিলীপের। তার আগে সকালে তাঁর অতীত বিধানসভা এলাকার এক বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান। খড়্গপুর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ওই অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়ে কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপি-রই। সেটা জানার পরে গাড়িতে বসে স্থানীয়দের দিলীপ বলেন, ‘‘ওর বাড়িতে গিয়ে '...' (চলতি ভাষায় মলত্যাগ) দিয়ে আসুন। যাতে বেরোতে না পারে।’’ এমনকী কাউন্সিলরকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখারও পরামর্শ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরেই জল-যন্ত্রণায় ভুগছেন। দিলীপকে কাছে পেয়ে কাউন্সিলরের নামে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। তখনই দৃশ্যত রেগে লাল হয়ে যান দিলীপ। বলেন, ‘‘এত দিন কি ঘুমাচ্ছিলেন? সাংসদ কোটার টাকা আমি পৌরসভাকে দিয়েছি। আমার দেওয়া টাকায় কোনও কাজ করেনি পৌরসভা। পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান। রাস্তায় যান পথ আটকান আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।’’ রাগী দিলীপ আরও বলেন, ‘‘সব কিছু কি দিলীপ ঘোষ করে দেবে? আপনারা বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকুন। টাকাও দেবে, আবার অভিযোগও শুনতে হবে দিলীপ ঘোষকে।’’
দিলীপ ঘোষের মুখে এমন দিশি ভাষা আগেও শোনা গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিদ্বজ্জনদের ‘রগড়ে’ দেবেন বলেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। কখনও কোনও অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ‘ন্যাকা’, কখনও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন সম্পর্কে কটূ মন্তব্য করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে বকুনিও শুনতে হয়েছে দিলীপকে। তবে রবিবার তাঁর রাগের যে চেহারা দেখা গেল, তাকে বেনজির বলা যায়। বিজেপি অবশ্য দিলীপ এই ভাষা ব্যবহারকে খারাপ চোখে দেখছে না। এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘এই ব্যাপারে এখনই কোনও মন্তব্য করব না। তবে দিলীপদা যে কথাটি বলেছেন, সেটা অশালীন কিছু নয়। দিলীপদা মাটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা মানুষ। আর এটা বাংলার সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy