Advertisement
E-Paper

এসএফআইয়ে চিড় ধরেনি, দাবি ঋতব্রতর

পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৩টি কলেজের মধ্যে একমাত্র এখানেই ক্ষমতায় আছে এসএফআই। তাই সংগঠনের ৩৩তম জেলা সম্মেলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দাসপুরের চাঁইপাট কলেজ সংলগ্ন ফরিদপুরকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:২৯
বক্তা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

বক্তা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৩টি কলেজের মধ্যে একমাত্র এখানেই ক্ষমতায় আছে এসএফআই। তাই সংগঠনের ৩৩তম জেলা সম্মেলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দাসপুরের চাঁইপাট কলেজ সংলগ্ন ফরিদপুরকে। শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের গড়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের সম্মেলন ঘিরে এ দিন সকাল থেকে সাজ সাজ রব ছিল চাঁইপাটে। গোপীগঞ্জ-সুলতাননগর সড়কের দু’ধার সংগঠনের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। চাঁইপাট থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত মিছিলে শতাধিক ছাত্রছাত্রী পা মেলান। পতাকা তুলে সম্মেলনের সূচনা করেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্য এখন অস্থির পরিবেশের মধ্যে চলছে। তাতেও আমাদের সংগঠনের চিড় ধরেনি। আমাদের সমর্থকদের মারধর, বাড়িতে গিয়ে শাসানি সবই চলছে। কিন্তু সংগঠনকে ভালবেসে কেউ হাল ছেড়ে দেননি।” তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সমীক্ষা বলছে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ২৪ লক্ষ মানুষ চাকরি পেয়েছেন। দেশের মধ্যে এই রাজ্যই ছিল প্রথম। দ্বিতীয় ছিল গুজরাত। এখন গুজরাতে যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়ছে। সিঙ্গুর থেকে টাটাদের হটিয়ে দিয়ে আমাদের রাজ্য ধুঁকছে।’’ এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় মাইক। পরে সাংবদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতব্রত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যতই চিৎকার করুন, রাজ্যে তৃণমূল নয়, মানুষই শেষ কথা বলবেন।’’

এ দিন হাজির ছিলেন সুনীল অধিকারী, সমর মুখোপাধ্যায়-সহ দাসপুরের বিভিন্ন শাখা কমিটি থেকে জোনাল কমিটির সদস্যরাও। সভাস্থলে প্রায় হাজার খানেক জমায়েত হয়। সূত্রের খবর, গত বারে সংগঠনের জেলা সম্মেলন হয়েছিল ডেবরায়। কিন্তু গত এক বছরে জেলায় ৩৩টি কলেজের মধ্যে একটি মাত্র কলেজের (চাঁইপাট) ছাত্র সংসদ দখলে রাখলেও দলের সদস্য থেকে সম্মেলনের প্রতিনিধির সংখ্যাও বেড়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বার এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পদে ‘নতুন মুখ’ আসার সম্ভাবনা প্রবল। সংগঠন সূত্রে খবর, সৌগত পণ্ডা সরলে তাঁর জায়গায় নতুন সম্পাদক হতে পারেন প্রসেনজিত্‌ মুদি। প্রসেনজিত্‌ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি পদেও রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সম্পাদক এবং সভাপতি পদে রদবদল নিয়ে সৌগত কিছু বলতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জেলা সম্মেলনে আলোচনার মধ্যে দিয়েই নতুন কমিটি হবে।’’ ২০০৯ সালে ঝাড়গ্রাম সম্মেলনে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন সৌগত। ২০১২ সালে ডেবরা সম্মেলনে এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন সোমনাথ চন্দ। সোমনাথ দায়িত্ব থেকে সরলে কে নতুন সভাপতি হবেন? সংগঠন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সৌতম মাহাতো, বিমল দাসের মতো ছাত্র নেতার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌতম ঝাড়গ্রামের ছাত্র নেতা, বিমল দাসপুর- ২ ব্লকের। দু’দিনের সম্মেলন শেষ হবে আজ, রবিবার। আজই নতুন কমিটি গঠন হবে।

SFI Daspur District seminar sultannagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy