ধৃত সুপর্ণা দাস। নিজস্ব চিত্র
তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের যুবক কার্তিক দাস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার স্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ। বুধবার রাতে নিজের বাড়িতে কার্তিকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। খুনের ঘটনায় বৌমা সুপর্ণা দাস ও তাঁর বাবা জড়িত বলে অভিযোগ দায়ের করেন কার্তিকের সন্ধ্যারানি দাস। অভিযোগের ভিত্তিতে সুপর্ণাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। শুক্রবার সুপর্ণাকে তমলুক আদালতে তোলা হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারক সুপর্ণার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কার্তিককে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা সুপর্ণা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কার্তিকের গলা কেটে খুন করা হয়েছে। সুপর্ণার সঙ্গে এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কার্তিক আপত্তি করায় পরিবারে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই কার্তিককে বৌমা খুন করেছে বলে মা সন্ধ্যা দাসের অভিযোগ। খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানতে পুলিশ সুপর্ণার মোবাইল ফোনটি হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে ওই মোবাইল ফোন থেকে একই নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ওই নম্বর কার তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সন্ধ্যাদেবীর অভিযোগ, বৌমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েই পরিবারে অশান্তি চলছিল। মঙ্গলবার গ্রামের বাসিন্দারা কার্তিক ও সুপর্ণাকে নিয়ে আলোচনাতেও বসে। সেখানে দুজনকেই নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে শান্তিতে বসবাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারপরের দিনই কার্তিককে খুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুপর্ণা প্রথমে দাবি করেছিল ওইদিন রাতে ডাকাতদল হানা দিয়েছিল। তাঁরাই কার্তিককে খুন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। এ দিন বিকেলে কলকাতা থেকে দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল আসে। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy