বেলপাহাড়ির জঙ্গল-রাস্তার ধারে পায়ের ছাপ পাওয়া অজানা প্রাণীটির সন্ধান মেলেনি। বন দফতরের দাবি, সে ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলার জঙ্গলে গিয়েছে।
প্রাণীটি আদৌ বাঘ কিনা নিশ্চিত করেনি বন দফতর। তবে পায়ের ছাপ দেখে বাঘ-বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাঘ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে বন্যপ্রাণী বাঁচাতে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে সচেতন-দল গঠনের কাজ শুরু করেছেন বাঘ-প্রেমী রথীন্দ্রনাথ দাস। কলকাতার বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি ২০১৯ সালে বাঘ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে মোটরবাইকে ২৬৮ দিনে গোটা দেশ ঘুরেছেন। এ বার বাঘ বাঁচানোর আর্জি নিয়ে বিশ্বভ্রমণে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন দাস-দম্পতি। তার আগে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে ফের ‘বাঘুত ঠাকুরে’র হাজিরার সম্ভাবনা নাড়া দিয়েছে রথীন্দ্রনাথকে।
রথীন্দ্রনাথ চান, বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার স্বার্থে ঝাড়গ্রামের বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হোক। তবে এই দাবি এলাকা থেকেই ওঠা প্রয়োজন বলে তাঁর মত। আর তাই স্থানীয় যুবকদের নিয়ে সচেতন-দল গঠনের সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে কয়েকটি দল গড়া হয়েছে। প্রথম পর্বে ওই দলের সদস্যদের নিয়ে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বন্যপ্রাণীদের বাঁচানোর স্লোগান তুলে ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে। বন্যপ্রাণীদের নামেই হবে এক -একটি খেলার দল।