ফাঁকা দোকান। নিজস্ব চিত্র।
নতুন রকমের ডিজাইন এ বার গরম জামায়। মজুত রয়েছে রকমের জিনিসও। কিন্তু নোটের জালে আটকে রয়েছে সবই। নোট বাতিলের জেরে মন্দা দেখা দিয়েছে শীতের পোশাক বিক্রিতে। শুধু মন্দা বললে ভুল হবে, খদ্দেরই নেই দোকানে। ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। এমন ছবি ঘাটাল শহর-সহ গোটা মহকুমা জুড়েই।
ক’দিন ধরেই ধীরে ধীরে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে। তাপমাত্রা একটু বেশিই নিম্নগামী ঘাটালের দিকে। গরম জামা ব্যবহার শুরু করেছেন আট থেকে আশি সকলেই। প্রতি বছরের মতো চলতে বছরেও শীতের ঠিক আগেই ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রামেও অস্থায়ী দোকান খুলে চুটিয়ে ব্যবসা করেন ব্যবসায়ীরা। দিন কুড়িক আগে থেকে কাশ্মীর থেকে ঘাটালে শাল নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেকে। বিক্রিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু নোট বাতিলের চক্করে ধাক্কা খেয়েছে বিক্রি।
পুরনো নোট নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। আর ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন দিয়েও পর্যাপ্ত টাকাও মিলছে না। এটিএম আছে কিন্তু তাতে টাকা নেই। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে যা খুচরো টাকা আসছে-তাতে সংসার সামলাতেই হিমসিম খাচ্ছেন সকলে। আর তার মধ্যে নতুন শীতপোশাক কেনার আগ্রহ আর ভিড়-দুইই কম। শহরের কোন্নগরের তরুণী পাপিয়া হালদারের কথায়, “প্রতি বছর কিছু না কিছু কিনি। গত শনিবার নতুন ২০০০ টাকা নোট নিয়ে একটা দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি খুচরো দিতে পারবেন না বলে ফিরে এলাম।’’ আলমগঞ্জের বাসিন্দা তনুশ্রী ঘোষ তো বলেই ফেললেন, “আমার একটি শাল খুব জরুরি। কিন্তু টাকা থেকেও কিনতে পারছি না।’’
ফলে মুখ গোমড়া করে দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ঘাটাল শহরে চলতি মরসুমেই আট-দশ জায়গায় শীত পোশাকের স্টল বসেছে। এক স্টল মালিক আসিফ খান বলেন, “আমি সাত বছর ধরে ঘাটালে স্টল দিচ্ছি। কয়েক লক্ষ টাকার বিকিকিনি হয় এই সময়। এ বার নোট বাতিলের চোটে কেনাকেটা শিকেয় উঠেছে।’’ টাকার সমস্যা মিটলে শীতপোশাকের বাজারও গরম হবে বলে আশায় ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy