ধর্ষণের চেষ্টার মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নিগৃহীতার উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হল এক ব্যক্তি। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। সোমবার রাতে ময়না থানার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে স্বামীর সহকর্মী শম্ভু মাকড় নামে এক ব্যক্তির নামে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেন ওই বধূ। তার ভিত্তিতে শম্ভুকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে অবশ্য সে জামিনে মুক্তি পায়। অভিযোগ, তারপর থেকেই ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিত শম্ভু।
সোমবার রাতে মেয়েকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ওই মহিলা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে চ়ড়াও হয় স্থানীয় শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই মহিলাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। তাঁর বুকে, পেটে এবং হাতে গুরুতর আঘাত রয়েছে। পাশেই ঘুমিয়েছিল তাঁর ছোট মেয়ে। তার চিৎকারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ততক্ষণে শম্ভু চম্পট দিয়েছে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাসপাতালে শুয়ে ওই মহিলা বলেন, ‘‘জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাসাত শম্ভু। কখনও সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চাপ দিত, কখনও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছিল। কিন্তু সোমবার একেবারে বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা করল।’’ ওই বধূর স্বামীও বলেন, ‘‘শম্ভু একবার ফোন করে আগের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বলেছিল। আমরা রাজি হইনি।’
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছে, ২০১১ সালে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল শম্ভুকে। সেই মামলায় জামিনও পেয়েছে শম্ভু। তবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার কোনও অভিযোগ এর আগে করেননি বধূ বা তাঁর
পরিবারে লোকজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy