Advertisement
E-Paper

বাইরে সুভাষচন্দ্র, অন্তরে ভারতমাতা

বৃহস্পতিবার ছিল নেতাজির ১২৪তম জন্মদিবস। বেলদ কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং টিএমসিপি-র উদ্যোগে আলাদাভাবে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
ছবিতে সুভাষ-বন্দনা।

ছবিতে সুভাষ-বন্দনা।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে রীতিমতো মূর্তি বসিয়ে ভারতমাতার পুজো করল গেরুয়া ছাত্র সংগঠন। বেলদায় এবিভিপি-র উদ্যোগে সুভাষ-স্মরণও হল। তবে তা মণ্ডপের কাপড়ের গায়ে ছবি টাঙিয়ে। এবিভিপি-র বেলদা কলেজ ইউনিটের এমন আয়োজন ঘিরে শোরগোল পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ছিল নেতাজির ১২৪তম জন্মদিবস। বেলদ কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং টিএমসিপি-র উদ্যোগে আলাদাভাবে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজের ভিতরেই টিএমসিপি ও কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠান হয়েছে। আর এবিভিপি কলেজের বাইরে মণ্ডপ খাটিয়ে ভারতমাতার পুজো করেছে। মূর্তি বসিয়ে, পুকুর থেকে ঘট উত্তোলন করে যাবতীয় আচার মেনেই এ দিন পুজো হয়েছে।

কিন্তু নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে ভারতমাতার পুজো কেন?

এবিভিপির ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা সকলে ভারতকে মা মনে করি। নেতাজিও তাই করতেন। সে জন্যই তাঁর জন্মদিনে ভারতমাতার পুজো করলাম।’’ পুজো মণ্ডপের কাপড় বুধবার রাতে ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি। পুজোয় প্রশাসনের অনুমতিও ছিল না। তাও কেন পুজো? গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বেলদা কলেজ ইউনিটের সহ-সভাপতি তমালজ্যোতি জানা বলেন, ‘‘পরাধীন দেশে ভারতমাতার পুজো করতে দিত না ইংরেজ। সে সবের বিরুদ্ধে লড়েই ভারতীয়রা পুজো করেছেন। আমরাও সব বাধা এড়িয়ে পুজো করতে পেরেছি।’’

এ দিন পুজো শুরুর আগে জাতীয় পতাকা নিয়ে বেলদা শহর ঘোরে এবিভিপি। পুজোর পরে প্রসাদ বিতরণ হয়। নারায়ণগড় ব্লকের বিজেপির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। টিএমসিপি-র জেলা সহ সভাপতি মনোজ দেবের কটাক্ষ, ‘‘একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে ভারতমাতার পুজোর ভাবনা ওদের মাথায় এসেছে। এ থেকে বোঝা ওরা রাজনৈতিক ভাবে কতটা অশিক্ষিত

ও বুদ্ধিহীন। অনুমতি ছাড়া এই পুজোয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখতে চাই।’’

Bharatmata Subhas Chandra Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy