হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি কাজলরানি মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র
মোবাইলে ভিডিয়ো গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় মা এবং দাদাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন তরুণ। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। হামলার জেরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দাদার। বছর বাইশের ওই তরুণের ভিডিয়ো গেমে আসক্তির এমন নজির দেখে শিউরে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ওই ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মোবাইলে ভিডিয়ো গেম খেলা নিয়ে মা কাজলরানি মণ্ডল (৫০) এবং দাদা সূর্যকান্তের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন চন্দ্রকান্ত। এর পরই ওই বাড়ি থেকে তীব্র চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন কাজলরানি। পাশে পড়ে রয়েছেন বড় ছেলে সূর্যকান্ত। জানা যায়, বচসার জেরে চন্দ্রকান্ত ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন সূর্যকান্তকে। আঘাত লাগে সূর্যকান্তের কাঁধে এবং মাথায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কাজলরানিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চণ্ডীপুরের এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে চন্দ্রকান্তকে সে সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এর কিছু ক্ষণ পর জানা যায়, ভগবানপুর থানার সরবেড়িয়া এলাকায় গিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চন্দ্রকান্ত। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত ভগবানপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর মা যেখানে ভর্তি রয়েছেন, সেই তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসকরা চন্দ্রকান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মণ্ডল পরিবারের প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, মোবাইলে ভিডিয়ো গেম খেলা নিয়ে চন্দ্রকান্তের সঙ্গে প্রায়শই তাঁর মা এবং দাদার ঝামেলা বাধত। ওই ঘটনার যে এমন করুণ পরিণতি হবে, তা মানতে পারছেন না তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy