Advertisement
E-Paper

অন্তরার মন পেতে তৎপর সিপিএম

জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে এ বার শোরগোল শুরু হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। অন্তরাদেবীকে দলে রাখতে তৎপর হয়েছেন সিপিএমের একাংশ। যদিও তাঁর দলে থাকার সম্ভাবনা কম। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। অন্তরাদেবী বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তিনি দলত্যাগ করছেনই। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিতে চান। গেরুয়া-শিবিরও মানছে, প্রাক্তন সভাধিপতির প্রশাসনিক কাজকর্মের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে, তিনি দলে এলে সংগঠনেরই ভাল হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০১:৩৩

জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে এ বার শোরগোল শুরু হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। অন্তরাদেবীকে দলে রাখতে তৎপর হয়েছেন সিপিএমের একাংশ। যদিও তাঁর দলে থাকার সম্ভাবনা কম। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। অন্তরাদেবী বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তিনি দলত্যাগ করছেনই। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিতে চান। গেরুয়া-শিবিরও মানছে, প্রাক্তন সভাধিপতির প্রশাসনিক কাজকর্মের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে, তিনি দলে এলে সংগঠনেরই ভাল হবে।

সূত্রে খবর, সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তরাদেবীর সঙ্গে কথা বলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুভাষ দে। সুভাষবাবুই প্রাক্তন সভাধিপতিকে ফোন করেন। জানতে চান, তাঁর দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা কি ঠিক। অন্তরাদেবী জানান, দলের কর্মীরাই তাঁকে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কর্মীরা মনে করছেন, সিপিএমের পক্ষে এখন সেই ভাবে আর প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। কারণ, দল সাংগঠনিক ভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

বস্তুত, সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন সভাধিপতি। তাঁর অনুযোগ, জেলা পরিষদে পালাবদল হওয়ার পর থেকে দলের জেলা নেতারা তাঁর সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখেননি। তিনি কেমন আছেন, কী ভাবে আছেন, জেলা নেতারা মাঝেমধ্যে তাঁর খোঁজখবরও নেননি। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, “আমার ক্ষেত্রেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে দলের অন্য কর্মীদের কী পরিস্থিতি হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি।”

অন্তরাদেবীর বাড়ি পিংলার ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথচকে। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে পিংলার কাজকর্ম দেখভাল করেন সুভাষবাবু। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুভাষবাবুর ফোন পেয়ে কিছুটা বিস্মিতই হন প্রাক্তন সভাধিপতি। সিপিএমের ওই নেতার কাছে জানতে চান, ‘কী ব্যাপার। এতদিন পর আমাকে মনে পড়ল!” সুভাষবাবু অন্তরাদেবীকে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত করার চেষ্টা করেন। বোঝান, বিজেপি চরম সাম্প্রদায়িক, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর আরও গভীর ভাবে ভেবে দেখা দরকার। এ-ও বোঝান, নেতৃত্ব সব সময়ই তাঁর পাশে থাকবেন।

অন্তরাদেবী অবশ্য বুঝিয়ে দেন, তিনি ভেবেচিন্তেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেও বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছেন প্রাক্তন সভাধিপতির। ফলে, সিপিএম নেতৃত্বের চেষ্টা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পরে ভস্মীভূত হল ট্রেলার। পুড়ে মারা গেলেন খালাসি। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ দেউলিয়া বাজারের কাছে ট্রেলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মাঝে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান খালাসি। মৃতের পরিচয় মেলেনি। আগুনে ট্রেলারের চালকও আহত হন। কোলাঘাট থানার পুলিশ ও তমলুক থেকে দমকল বাহিনী এসে ওই ট্যাঙ্কারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর জেরে ব্যস্ত জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়।

antara bhattacharya cpm medinipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy