Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আক্রান্ত সিপিএম সমর্থকদের সাহায্য ঘাটালের বিধায়কের

বিজয় মিছিল শেষে তিন সিপিএম সমর্থকের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবারের সেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরই মধ্যে শনিবার আক্রান্তদের হাতে ব্যবসা শুরু করার জন্য অর্থ সাহায্য করলেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব (সেচ) শঙ্কর দোলই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০১:০৪
Share: Save:

বিজয় মিছিল শেষে তিন সিপিএম সমর্থকের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবারের সেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরই মধ্যে শনিবার আক্রান্তদের হাতে ব্যবসা শুরু করার জন্য অর্থ সাহায্য করলেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব (সেচ) শঙ্কর দোলই। জানা গিয়েছে, ওই তিন সিপিএম সমর্থকের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন মোট এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি আক্রান্তদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন শঙ্করবাবু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ঘাটালের লক্ষ্মণপুরে তৃণমূলের বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেই মিছিল সেরে ফেরার পথে তিন সিপিএম সমর্থকের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তবে শনিবার ধৃতেরা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। তৃণমূলের তরফে প্রথম দিন থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছিল। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনই ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই ওই দিনই দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকী সেখানে দলের কর্মী-সমর্থকদের ভর্ৎসনা করেন বলেও জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “বিধায়ক স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। ফের কোনও গণ্ডগোল হলে ঘটনায় জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কারের ফতোয়াও দেন।”

ঘটনার পরের দিনই এলাকায় বিধায়ক গিয়ে হাতে নগদ টাকা দেওয়ায় খুশি আক্রান্ত মালতী রায়, সন্দীপ পালেরা। মালতিদেবী বলেন, “আমাদের অবস্থা ভাল নয়। ওঁর এই সাহায্যে আমাদের খুব উপকার হল।” উল্লেখ্য, জেলা জুড়ে এখন একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মী বা সমর্থকদের মারধর,জরিমানা-চলছেই। এ ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “দলের প্রতি ব্লকের নেতৃত্বকে কড়া ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কেউ দলের নাম করে জরিমানা বা গণ্ডগোল বাধালে তাঁদের দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আর শঙ্করবাবুর প্রতিক্রিয়া, “দলীয় তহবিলের টাকা থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। ঘটনায় কারা জড়িত-তার তদন্তও শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ghatal cpm tmcp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE