দীর্ঘ দশ বছরের দাবি পূরণ হল। মঙ্গলবার গড়বেতা আদালতে চালু হল অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। বর্তমানে গড়বেতার দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীময়ী চক্রবর্তীকে এই দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। এ দিন নারকেল ফাটিয়ে অনাড়ম্বর ভাবে কাজ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায় । ছিলেন ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিনেই বেশ কয়েকটি মামলাও উঠেছে এই আদালতে। গড়বেতা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল মহাপাত্র বলেন, “পুলিশবাদী মামলা মানেই আগে মেদিনীপুর ছুটতে হত। ফলে গড়বেতা-সহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষকে হেনস্থা হতে হত। এবার ঘরের কাছে আদালত পাওয়ায় সকলের উপকার হবে।”
গড়বেতা আদালতটি বহু পুরনো। এখানকার দেওয়ানি আদালতের বয়স প্রায় একশো বছর। ফৌজদারি আদালত শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। কিন্তু হলে কী হবে এখানে কেবলমাত্র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকতেন। ফলে মারামারি বা যে কোনও পুলিশ কেস হলেই মেদিনীপুরের সিজেএম আদালতে পাঠাতে হত পুলিশকে। অভিযুক্ত, অভিযোগকারী বা সাক্ষীদেরও সেখানেই যেত হত। যেতে হত সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী অফিসারকেও। দীর্ঘ পথ উজিয়ে যাওয়ার খরচ যেমন ছিল বেশি তেমনি সময়ও লাগত অনেক। এবার তার থেকে মুক্তি সকলেরই। প্রথমে গড়বেতা ও গোয়ালতোড় থানার যাবতীয় মামলা এখানেই হবে। ধীরে ধীরে আনন্দপুর থানা, কেশপুর ও চন্দ্রকোনা থানার কিছু অংশও এই আদালতের আওতায় আসবে বলে বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে গড়বেতা বার অ্যাসোসিয়েশন এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সেই দাবি মেনে নিয়েই হাইকোর্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy