এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সিআরপি-র সাব ইন্সপেক্টর-সহ দু’জন। শনিবার রাতে ডেবরা থানার পুলিশ বালিচক লকগেট বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তার আগে সন্ধ্যায় ওই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা তিন জনের বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও কটূক্তির অভিযোগের দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ডেবরার গোয়ালাগেড়িয়ার কৃষ্ণপ্রসাদ শূর ও তাঁর বন্ধু রাধামোহনপুরের আনন্দ কাঠালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আর এক অভিযুক্ত চকলালপুরের স্কুল শিক্ষক পার্থসারথি কর পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। কৃষ্ণপ্রসাদ কাশ্মীরে সিআরপি-র সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন সিআরপি-র ২৫ নম্বর ব্যাটালিয়ানের সাব-ইন্সপেক্টরবছর আঠাশের কৃষ্ণপ্রসাদ। বছর সতেরোর ওই কিশোরীর পরিবার এলাকায় ভাড়া থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটর সাইকেলে বালিচক লকগেটের কাছে আসেন কৃষ্ণপ্রসাদ। ওই কিশোরী ও তার মা তখন লকগেট বাজারে এসেছিলেন। অভিযোগ, এই তিন যুবক তাঁদের পিছু নেয়। তারপর বাজারের মধ্যেই কিশোরীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে কৃষ্ণপ্রসাদ। কু-প্রস্তাবও দেয় বলে অভিযোগ। শেষমেশ দোকানদাররা প্রতিবাদ করলে কৃষ্ণপ্রসাদরা ফিরে যায়।
শনিবার বিকেলে ফের কিশোরীর বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন কৃষ্ণপ্রসাদ ও আনন্দ। স্থানীয় দোকানিরা জানতে চাইলে নিজের পেশাগত পরিচয় দেন কৃষ্ণপ্রসাদ। লকগেট বাজারের এক ব্যবসায়ীর কথায়, “নিজেকে কেন্দ্রের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে আমাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন কৃষ্ণপ্রসাদ। আমরা পুলিশকে সব জানাই।” পুলিশ এসে ওই দুই যুবককে থানায় নিয়ে যায়। পরে কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আনন্দের পেশাগত পরিচয় জানা যায়নি। আর এক অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক পার্থসারথি করের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।