সিপিএমের সারাভারত কৃষকসভার ব্লক কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার কেশিয়াড়ির কাঞ্চনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দীর্ঘদিন ধরেই পাট্টার জমিতে সিপিএমের কৃষক সংগঠনের ওই ব্লক কার্যালয় ছিল। সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন ওই কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের শ’দেড়েক কর্মী-সমর্থক। ভাঙচুরের পর কার্যালয়টি দখল করা হয়। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ভবানী গিরিকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে কাঞ্চনপুর মৌজায় ৭৭ ডেসিমেল খাসজমি পাট্টায় বিলি করা হয়। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক তুষার পাঁজা তাঁর স্ত্রী ছায়া পাঁজার নামে ৬ ডেসিমেল জমি পাট্টায় পান। ২০১০ সাল নাগাদ তুষারবাবু অবসরের পর খড়্গপুরে চলে এলে পাট্টার ওই জমি সিপিমের কিছু কর্মী ও তাঁদের স্ত্রীদের নামে বন্টন করা হয়। পরে পাশের একটি রায়ত জমির ১ ডেসিমেল রেকর্ড করা হয় সিপিএম নেতা ভবানী গিরি, বিমানবিহারী ভট্টাচার্য-সহ তিন জনের নামে। ওই জমিতে তুষারবাবুর তৈরি বাড়িতে চলতে থাকে কৃষকসভার ব্লক কার্যালয়।
সিপিএমের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের সন্ত্রাসে ওই কার্যালয় বিশেষ খোলা যেত না। মাঝেমঝ্যে শুধু বৈঠক হত। শনিবার একেবারে কার্যালয়টি দখল করা হয়। কৃষকসভার ব্লক সভাপতি বিমানবিহারী ভট্টাচার্য কেশিয়াড়ি থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মী রাধামাধব শূর, হরিপদ জানা, স্বপন রাউল ও তারাশঙ্কর পাত্র-সহ বেশ কয়েজন ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর করে। তারপর তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দেয়। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ভবানীবাবু বলেন, “আমি জোনাল কার্যালয়ে যাওয়ার সময় দেখি কৃষকসভার অফিস তৃণমূলের কর্মীরা ভাঙচুর করেছে। কারণ জানতে গেলে আমাকেও হেনস্থা করা হয়।”
কৃষকসভার কার্যালয় দখলের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা নেতা বিষ্ণুপদ দে-র বক্তব্য, “সিপিএম বহিরাগতদের নামে ওই জমির পাট্টা নিয়েছিল। কিন্তু কেউ ওখানে থাকত না। কার্যালয়টিও কেউ খুলত না। তাই আমাদের স্থানীয় কর্মীরা দলীয় কার্যালয় খুলতে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। তবে ভবানীবাবুকে হেনস্থার অভিযোগ মিথ্যে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy