সিপিএম নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশপুরের মনতায়। সোমবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। ২ জনের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত এবং বাকি ৭ জনের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। রবিবার সকালে কেশপুরের ওই এলাকায় মিছিল করে বামেরা। মিছিলে ছিলেন ঘাটালের বাম প্রার্থী সন্তোষ রাণা, কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই প্রমুখ। মিছিলের পর থেকেই মনতায় অশান্তি ছড়ায়। বামেদের অভিযোগ, বিকেলে একদল তৃণমূল কর্মী মোটর বাইকে করে এসে গ্রাম ঘিরে নেয়। দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূলের এই হামলায় ১৫ জন কর্মী- সমর্থক জখম হন। এর মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় ৭ জনকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। জেলা পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সি ই ও) সুনীল গুপ্তর দফতরেও লিখিত অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেন ঘাটালের বামপ্রার্থী সন্তোষবাবু। রাতেই ৯ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্তোষবাবু বলেন, “পুরো গ্রাম ঘিরে আক্রমণ চালানো হয়েছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচুর মারধর করা হয়েছে। বাইরে থেকে লোকজন এনে তৃণমূল আক্রমণ চালায়।” বাম প্রার্থীর অনুযোগ, “গত কয়েক দিন ধরেই আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করছিলাম, যেখানে আমাদের মিছিল হচ্ছে, পরে সেখানেই তৃণমূল আক্রমণ করছে। যাতে আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি সংগঠিত করতে না পারি। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, মার খেয়েছেন, পুলিশ আমাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে।” মনতার ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সন্তোষবাবু। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের অবশ্য দাবি, বামেদের মিথ্যে অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তৃণমূল নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy