Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীদের খাওয়াতে স্কুল টিফিনে ছুটির অভিযোগ

প্রার্থীর রোড-শোর কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ানোর জন্য টিফিনের পর স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোনায়। বৃহস্পতিবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি চন্দ্রকোনায় রোড-শো করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০২:০৫
Share: Save:

প্রার্থীর রোড-শোর কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ানোর জন্য টিফিনের পর স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোনায়। বৃহস্পতিবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি চন্দ্রকোনায় রোড-শো করেন। এছাড়া চন্দ্রকোনায় তিনি কর্মিসভাও করেন। অভিযোগ, কর্মিসভা শেষে কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তাই চন্দ্রকোনার বান্দিপুর-ঘনরামপুর হাইস্কুল টিফিনের পর বন্ধ করে দিয়ে সেখানেই কর্মীদের খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়। সিপিএমের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্তের অভিযোগ, “শাসক দলের কর্মীদের খাওয়ানোর জন্য টিফিনে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই ওই স্কুল চত্বরে রান্নাও হয়েছে। ফলে এ দিন প্রথম থেকেই ওই স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ ছিল না। বিষয়টি আমরা কমিশনে জানাবো।” স্কুল ছুটির কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক অরুণ সাহা বলেন, “এ দিন টিফিন পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমাদের স্কুলে রান্না করার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি। কিন্তু স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক আমাকে স্কুল ছুটি দিতে বলেন। ফলে আমি ছুটি দিয়ে দিই।” যদিও তৃণমূল পরিচালিত ওই স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস ঘোষ বলেন, “প্রচণ্ড রোদে কোথাও খাওয়ানোর জায়গা ছিল না। তাই এ দিন টিফিনে স্কুল ছুটি দিতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়।” যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন সকালে প্রথমে তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি অপরূপা পোদ্দার চন্দ্রকোনার কালিকাপুর থেকে ঝাঁকরা পর্যন্ত রোড-শো করেন। পরে ঝাঁকরা সংলগ্ন বান্দিপুরে একটি কর্মিসভাও হয়। কর্মিসভা শেষে প্রার্থী বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। বান্দিপুর হাইস্কুল মাঠে এদিনের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় সচিব শঙ্কর দোলই, চন্দ্রকোনা ২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী, হীরালাল ঘোষ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কর্মিসভায় আফরিন আলি বলেন, “আর হাতে সময় নেই। তাই আপনারা সময় নষ্ট না করে প্রচারে গুরুত্ব দিন। আমাকে জয়ী করে দিল্লিতে পাঠালে আমি আপনাদের সঙ্গে থেকে আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।” বেচারাম মান্নাও বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি মানুষকে তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন ও গোটা রাজ্য কিভাবে শান্তিতে রয়েছে-তা বোঝাতে হবে। মানুষই সব, মানুষের পাশে থাকতে হবে। আপনারা এলাকার মানুষের চাহিদা বুঝে তাঁদের যতটা সম্ভব সমস্যা সমধানের চেষ্টা করবেন। দেখবেন মানুষ ঠিক পাশে আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chandrakona school
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE