Advertisement
E-Paper

জওয়ানের হাতে হাঁসুয়ার কোপ কাঁথিতে

ভোট মরসুমে নির্বাচন কমিশনের কাজে গিয়ে সরকারি কর্মীরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। চতুর্থ দফা ভোটে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মার খেয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসারও। পঞ্চম তথা শেষ দফা নির্বাচনে এ বার হামলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের উপর। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রামনগর ২ ব্লকে। হেমন্ত কুমার নামে ওই জওয়ানের ডান হাত ধারালো অস্ত্রের ঘায়ে জখম হয়েছে। তিনি কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ নুরউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০২:৩৭

ভোট মরসুমে নির্বাচন কমিশনের কাজে গিয়ে সরকারি কর্মীরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। চতুর্থ দফা ভোটে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মার খেয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসারও। পঞ্চম তথা শেষ দফা নির্বাচনে এ বার হামলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের উপর।

সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রামনগর ২ ব্লকে। হেমন্ত কুমার নামে ওই জওয়ানের ডান হাত ধারালো অস্ত্রের ঘায়ে জখম হয়েছে। তিনি কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ নুরউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “জওয়ানের উপর হামলার ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেরা দক্ষিণ রাজকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৮ নম্বর বুথের দায়িত্বে ছিলেন অসম থেকে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান হেমন্ত কুমার। তাঁর বাড়ি বিহারের আড়ওয়াল জেলায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, অতি স্পর্শকাতর ওই বুথের বাইরে জটলা দেখলেই সরিয়ে দিচ্ছিলেন ওই জওয়ান। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে বুথ চত্বরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ নুরউদ্দিনকে বুথের সামনে দেখে তাঁর কাছেও পরিচয়পত্র দেখতে চান হেমন্ত। দু’জনের বচসা বাধে। প্রথমবার লাঠি দিয়ে মেরে নুরউদ্দিনকে বুথ থেকে বের করে দেন ওই জওয়ান। কিছুক্ষণ পরে আবার ফিরে আসেন নুরউদ্দিন। বুথের বাইরে একটি গাছতলায় দাঁড়িয়ে তিনি হাঁসুয়া ঘোরাচ্ছিলেন এবং কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নে ভোট দিন বলছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে হেমন্ত সেখানে আসেন। ফের দু’জনের বচসা বাধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীনই ওই জওয়ানের হাতে হাঁসুয়ার কোপ বসিয়ে দেন নুরউদ্দিন। ঘটনার পরে নুরউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির অভিযোগ, “ওই ব্যক্তি সিপিএম কর্মী।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাঁথির দলীয় প্রার্থী তাপস সিংহের পাল্টা দাবি, “ওই ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক।” স্থানীয় সূত্রের খবর, নুরউদ্দিন এলাকায় সিপিএম সমর্থক বলেই পরিচিত। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেমন্তকে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁর ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকেরা জানাছন, বছর আঠাশের হেমন্তের ডান হাত গুরুতর জখম হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে।

kanthi presiding officer attacked syeikh nuruddin
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy