ব্যবসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে দাবিমতো ২০ হাজার টাকা মেলেনি। তাই ছেলের জন্মদিনের রাতেই স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পাঁশকুড়া থানার কনকপুর এলাকার ঘটনা। রবিবার ভোরে রেশমিনা বিবি নামে ওই গৃহবধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বছর ঊনিশের ওই গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কনকপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ আসিরুদ্দিনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পাঁশকুড়া থানার রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের মেয়ে রেশমিনার। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আসিরুদ্দিন আগে মার্বেল পাথরের কাজ করত। বর্তমানে পাঁশকুড়া বাজারের একটি ফলের দোকানের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ, সম্প্রতি নিজের ফলের ব্যবসার জন্য আসিরুদ্দিন বাপের বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন স্ত্রীকে। কিন্তু দাবিমতো টাকা না মেলায় স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন ছাড়াও মেরে ফেলার হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ।
গত শনিবার ছেলে তাঁদের ছেলে রেহানের চার বছরের জন্মদিন ছিল। এ দিন সকালে কাজে বেরিয়ে যায় আসিরুদ্দিন। দুপুরে জন্মদিন উপলক্ষে রেহানের মামা ও মাসি আসে। সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া করে তাঁরাও বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, রাতে বাড়ি ফিরে এসে ফের টাকার দাবিতে স্ত্রীকে হুমকি দিতে থাকে আসিরুদ্দিন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসাও বাধে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কোরেসিন ঢেলে রেশমিনার গায়ে আসিরুদ্দিন আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে রেশমিনার এক আত্মীয় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পাঁশকুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে রবিবার ভোরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় রেশমিনা হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আগুনে মায়ের সঙ্গে থাকা রেশমিনার ছেলে রেহানের দুই পায়ের আঙুল পুড়ে জখম হয়েছে। রেশমিনার মা সায়রা বিবির অভিযোগ, “টাকা চেয়ে না পাওয়ায় শনিবার রাতে জামাই আসিরুদ্দিন কাপড় দিয়ে রেশমিনার হাত-মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ওই ঘটনায় রেশমিনার স্বামী, শাশুড়ি ও এক ননদ যুক্ত রয়েছে। আমরা ওই তিন জনের শাস্তি চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy