Advertisement
E-Paper

তত্‌পর পুলিশ, নির্বিঘ্নেই মনোনয়ন সমবায় ব্যাঙ্কে

প্রথম দু’দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও মনোনয়নপর্বের তৃতীয় দিন অবশ্য এমন কিছু হল না। শুক্রবার সুষ্ঠু ভাবেই মনোনয়ন চলেছে। আজ, শনিবার মনোনয়নপর্বের শেষ দিন। এদিন সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। যেখানে মনোনয়ন চলছিল, তার আশপাশে অবাঞ্চিত কাউকে থাকতে দেয়নি পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৬
মেদিনীপুর পিপলস্‌ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পুলিশি পাহারা। —নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর পিপলস্‌ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পুলিশি পাহারা। —নিজস্ব চিত্র।

প্রথম দু’দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও মনোনয়নপর্বের তৃতীয় দিন অবশ্য এমন কিছু হল না। শুক্রবার সুষ্ঠু ভাবেই মনোনয়ন চলেছে। আজ, শনিবার মনোনয়নপর্বের শেষ দিন।

এদিন সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। যেখানে মনোনয়ন চলছিল, তার আশপাশে অবাঞ্চিত কাউকে থাকতে দেয়নি পুলিশ। মনোনয়নপর্বে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গত দু’দিন ধরে যারা সবথেকে বেশি সোচ্চার ছিল, এমনকী থানার সামনে অবস্থানেও বসে, সেই সিপিএমও মানছে, এদিন সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন হয়েছে। দলের জেলা নেতা কীর্তি দে বক্সী বলেন, “প্রথম দু’দিন তৃণমূলের লোকজন বাধা দিয়েছিল। শুক্রবার অবশ্য এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ভাবেই মনোনয়ন চলেছে। আমরা চাই, যাঁরা মনোনয়ন দিতে ইচ্ছুক, মনোনয়ন দিক। ভোট হোক। ভোটাররা যাঁকে সমর্থন করবেন তিনি জিতবেন। এটাই তো গণতন্ত্র।” তৃণমূলের জেলা নেতা প্রদ্যোত্‌ ঘোষ বলেন, “আগের দু’দিনও কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। আমরাও চাই সুষ্ঠু ভাবে ভোট হোক।”

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর শহরের পিপলস্ কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচন। সবমিলিয়ে ৫১ জন প্রতিনিধি (ডেলিগেট) নির্বাচিত হবেন। এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে শহরে উত্তেজনার পারদও চড়ছে। একদিকে যেমন ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বামেরা। অন্যদিকে, বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূলও। মনোনয়নপর্বের প্রথম দিন বুধবারও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। দুই দলের কর্মী- সমর্থকেরা বাদানুবাদে জড়ান। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ব্যাঙ্কের সভাঘরের কিছু চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকেদের বিরুদ্ধে। এই সভাঘরেই মনোনয়নপর্ব চলছে। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত ভাবে গেটের কাছে ভিড় করা, দীর্ঘক্ষণ জোর করে গেট বন্ধ রাখা, সিপিএমের কয়েকজন নেতা- কর্মীকে মারধর করা, একাধিক মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। অবশ্য কোনও অভিযোগই মানেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারও একই পরিস্থিতি হয়। ওই দিন আবার শাসক দলের লোকেদের হাতে প্রহৃত হন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটানিং অফিসার কৌশিক চক্রবর্তী। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। শুক্রবার অবশ্য এই উত্তেজনার পরিস্থিতি ছিল না। সকাল থেকেই কড়া নজরদারি চালায় পুলিশ। ফলে, বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়নি।

ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, তিন দিনে সব মিলিয়ে ২৩২টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। বুধবার তোলা হয়েছে ৯৬টি, বৃহস্পতিবার তোলা হয়েছে ৮৪টি এবং শুক্রবার তোলা হয়েছে ৫২টি। যাঁরা মনোনয়ন তুলেছেন, তাঁদের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই, বিজেপি- সব রাজনৈতিক দলের কর্মী- সমর্থকই রয়েছেন। সিপিএম, সিপিআই সমর্থিত প্রার্থীরা এখানে লড়াই করছেন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ব্যানারেই। অন্যদিকে, এই তিন দিনে সবমিলিয়ে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৯৬টি। আজ, শনিবার মনোনয়নপর্বের শেষ দিনেও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে ব্যাঙ্কের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের আশপাশে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

medinipur co-operative bank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy