Advertisement
১৫ মে ২০২৪

দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত ব্যবসায়ী

স্থানীয় বিবাদের জেরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৩৮)। তাঁর বাড়ি ঘাটাল থানার বরদা সংলগ্ন শিবপুরে। বুধবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় ট্রাক্টর ব্যবসায়ী বিশ্বিজৎবাবু এ দিন কয়েক জন সোনার ব্যবসায়ী আত্মীয়ের সঙ্গে দুধকোমরায় আসেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, রূপনারায়ণের খেয়াঘাটে এসে নৌকায় হাওড়া জেলায় জয়পুর থানার চিৎনান গ্রামে যাবেন।

দুধকোমরায় স্থানীয়দের জটলা। রয়েছে পুলিশও। —নিজস্ব চিত্র।

দুধকোমরায় স্থানীয়দের জটলা। রয়েছে পুলিশও। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৯
Share: Save:

স্থানীয় বিবাদের জেরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৩৮)। তাঁর বাড়ি ঘাটাল থানার বরদা সংলগ্ন শিবপুরে। বুধবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় ট্রাক্টর ব্যবসায়ী বিশ্বিজৎবাবু এ দিন কয়েক জন সোনার ব্যবসায়ী আত্মীয়ের সঙ্গে দুধকোমরায় আসেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, রূপনারায়ণের খেয়াঘাটে এসে নৌকায় হাওড়া জেলায় জয়পুর থানার চিৎনান গ্রামে যাবেন।

স্থানীয়দের দাবি, বেলা একটার সময়ে বিশ্বজিৎবাবুরা যখন রূপনারায়ণের পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন আচমকা গুলি, বোমার শব্দ শুনতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই, হঠাৎ একটি গুলি এসে বিশ্বজিৎবাবুর মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের পথে মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে চিৎনান গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে দুধকোমরায় দোলুইপাড়ার কয়েক জনের বচসা হয়। তা হাতাহতিতে গড়ালে চিৎনান গ্রামের দু’জন আহত হন। একজনের আঘাত গুরুতর ছিল। স্থানীয় ভাবে তাঁর চিকিৎসাও করা হয়। এই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, এরই জেরে বুধবার সকাল আটটার পর থেকে রূপনারায়ণের চিৎনান-বাকসী হয়ে দুধকোমরা খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, চিৎনানের কয়েক জন দাবি করে, খেয়া নৌকায় কেবলমাত্র তাঁদেরই গ্রামের লোকেরাই উঠবে। দুধকোমরায় বাসিন্দারা স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবাদ করে। দুধকোমরায় অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য অষ্টমকুমার দোলুই বলেন, “ওদের দাবি অযৌক্তিক।” বুধবার খেয়া চলাচল শুরু হলে কয়েক জন দুষ্কৃতী খেয়াটির দখল নেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই খেয়া থেকেই এ দিন গুলি চালানো হয়েছে।

খেয়ার মালিক শেখ মিনা-সহ দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকা থমথমে। পরে ঘটনাস্থলে আসেন জেলার পদস্থ পুলিশকর্তারা। আসে হাওড়ার জয়পুর থানার পুলিশও। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলে গুলির দাগ মিলেছে। কিন্তু, কেন এই গুলিচালনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। এলাকায় টহল চলছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

muder ghatal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE