ধর্ষণের অভিযোগে এক সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বছর ছত্রিশের মলয় হালদারের বাড়ি বিনপুর থানার শিলদা অঞ্চলের ছোট শুকজোড়া গ্রামে। তিনি সিপিএমের শিলদা লোকাল কমিটির সদস্য। এছাড়া মলয়বাবু শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েতেরও সিপিএম সদস্য। শিলদার বড় শুকজোড়া গ্রামের এক প্রৌঢ়া গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে মলয়বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিনই মলয়বাবুকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুপর্ণা রায় তদন্তের স্বার্থে তাঁকে পাঁচদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ওই মহিলার অভিযোগ, গত ২ এপ্রিল শিলদায় মেলা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মলয়বাবু তাঁকে ধর্ষণ করেন। গত ৪ এপ্রিল বেলপাহাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। ওই মহিলার দাবি, মাস খানেক আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে সংক্রান্ত পারিবারিক সমস্যা মেটানোর জন্য তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মলয়বাবুর সাহায্য চান। সেই সূত্রে মলয়বাবুর সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয় বাড়ে। মহিলার কথায়, “গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় মলয়বাবু আমার মেয়েকে শিলদায় মেলা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। আমার মেয়ে যেতে রাজি হয়নি। এরপর মলয়বাবু আমাকে তাঁর সঙ্গে মেলা দেখতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। আমি তাঁর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু উনি মেলায় না গিয়ে বেলপাহাড়ির কাঁটাবনির জঙ্গলে আমাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।” অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে ফেরার হয়ে যান মলয়বাবু। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ের গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করায়। মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়।
সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক উদ্ধব মাহাতো বলেন, “মলয়বাবু শিলদা অঞ্চলে আমাদের দলের দক্ষ সংগঠক। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগেও মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে মলয়বাবুকে এক মাস জেলবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফের তাঁকে সাজানো ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।” মলয়বাবুর আইনজীবী পার্থসারথি ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, “আমার মক্কেলকে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy