Advertisement
১৬ মে ২০২৪

নাচে-গানে বর্ষবরণের প্রস্তুতি শহরে

কোথাও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নাচগান। কোথাও আমন্ত্রণমূলক যোগাসন-কবাডি-খো খো প্রতিযোগিতা। কোথাও বা পুরনো এবং নতুন দিনের বাংলা গানের আসর। পয়লা বৈশাখকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বারও প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর। সোমবার দিনভর শহরের নানা দিকে এই প্রস্তুতির ছবিই চোখে পড়ল। ১৯৯১ সালে প্রথম বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে ‘ক্যামেলিয়া’।

শহরে কেনাকাটা।—নিজস্ব চিত্র

শহরে কেনাকাটা।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৫
Share: Save:

কোথাও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নাচগান। কোথাও আমন্ত্রণমূলক যোগাসন-কবাডি-খো খো প্রতিযোগিতা। কোথাও বা পুরনো এবং নতুন দিনের বাংলা গানের আসর। পয়লা বৈশাখকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বারও প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর। সোমবার দিনভর শহরের নানা দিকে এই প্রস্তুতির ছবিই চোখে পড়ল।

১৯৯১ সালে প্রথম বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে ‘ক্যামেলিয়া’। সেই শুরু। সেদিন যাঁদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই আজ কাজের টানে অন্যত্র। তবু অনুষ্ঠানে ছেদ পড়েনি। গত ২৩ বছরের মতো এ বছরও নববর্ষকে সামনে রেখে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে এই অনুষ্ঠান হবে। অন্যতম উদ্যোক্তা সঙ্গীতশিল্পী অলোকবরণ মাইতি। সোমবার অলোকবরণবাবু বলছিলেন, “শুরুর দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে। আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, নববর্ষের দিন অনুষ্ঠান করব। ঠিক হল, নেতাজি মূর্তির সামনে অনুষ্ঠান হবে। তখন ওখানে একটা ক্যামেলিয়া গাছ ছিল। ওই গাছের নামেই সংস্থার নামকরণ করা হল।” কয়েক বছর আগে অবশ্য গাছটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সঙ্গীতশিল্পীর কথায়, “আমাদের অনুষ্ঠান ২৪ তম বর্ষে পড়ল। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান করি। যে যাঁর সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন।” শিশু সংগঠন ‘সব পেয়েছির আসর’-এর উদ্যোগেও মঙ্গলবার দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। ‘সব পেয়েছির আসর’-এর বর্ষবরণের এ বার ৩৬ তম বর্ষ। সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে প্রভাতফেরি বেরোবে। বিকেলে বিদ্যাসাগর হলের মাঠেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে ভারতীয়ম, ছড়া ব্যায়াম প্রভৃতি পরিবেশিত হওয়ার কথা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়েই এই অনুষ্ঠান। আসরের উদ্যোগে সোমবার সকালে বসে আঁকা প্রতিযোগিতা হয়েছে। সফল প্রতিযোগিদের অনুষ্ঠান- মঞ্চে পুরস্কৃত করা হবে। এদিন বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়াও হয়। সবপেয়েছির আসরের মেদিনীপুর অঞ্চল সংগঠক জীতেশ হোড় বলেন, “প্রতি বছরই আমরা এই দিনটি উদ্যাপন করি। গত ৩৫ বছরের মতো এ বারও নববর্ষের দিন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।” জেলা জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সঙ্ঘের উদ্যোগেও বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে প্রভাতফেরি বেরোবে। তারপর আমন্ত্রণমূলক যোগাসন-কবাডি-খো খো প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। সোমবার বিকেলে বসে আঁকো, আবৃত্তি প্রতিযোগিতাও হয়। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির উদ্যোগেও নানা অনুষ্ঠান হবে। অন্যদিকে, ‘মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম’-এর উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে এক নৃত্যানুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের নাম ‘বৈশাখী’।

সব মিলিয়ে, বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

medinipur bengali new year
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE