Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নাচে-গানে বসন্তোত্‌সব দুই জেলাতেই

তাঁর প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীতে ফাগ উড়িয়ে নাচে-গানে বসন্তোত্‌সব পালন শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর হাতে শুরু করা সেই ঐতিহ্যের ধারা আজও অম্লান শান্তিনিকেতনে। পরবর্তীকালে অন্য জেলাতেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রাবীন্দ্রিক ধারায় বসন্তোত্‌সব পালন শুরু হয়েছে। দুই মেদিনীপুরেও দেখা যায় সেই ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

তাঁর প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীতে ফাগ উড়িয়ে নাচে-গানে বসন্তোত্‌সব পালন শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর হাতে শুরু করা সেই ঐতিহ্যের ধারা আজও অম্লান শান্তিনিকেতনে। পরবর্তীকালে অন্য জেলাতেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রাবীন্দ্রিক ধারায় বসন্তোত্‌সব পালন শুরু হয়েছে। দুই মেদিনীপুরেও দেখা যায় সেই ছবি।

বৃহস্পতিবার বসন্তোত্‌সবের আসর বসেছিল মহিষাদল রাজবাড়ির আমবাগানে। উদ্যোক্তা মহিষাদল প্রেস কর্নার। প্রভাতফেরি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর দিনভর চলে নাচ-গান-আবৃত্তি। সন্ধ্যায় বসন্তোত্‌সবের মঞ্চ থেকে তিন মহিলাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন অধ্যাপক হরিপদ মাইতি প্রমুখ। মহিষাদল প্রেস কর্নারের কর্মকর্তারা জানান, জীবন যুদ্ধে জয়ী তিন মহিলাকে তাঁরা সংবর্ধনা দিয়েছেন। তমলুকের বল্লুক গ্রামের ৩৪ বছর বয়সী মায়া রুইদাসের ২০ বছরে বিয়ে হয়েছিল। ছ’মাসের মধ্যেই সম্পর্ক ভাঙে। তিনি বাপেরবাড়ি ফিরে আসেন। তারপর বাবার কাছ থেকে জুতো সেলাইয়ের কাজ শেখেন। কিছু দিনের মধ্যে বাবা মারা যান। তারপর বাবার পেশা জুতো সেলাইকে সম্বল করেই পাঁচ বোনকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন মায়াদেবী। এখনও জুতো সেলাই করেই মাকে নিয়ে সংসার চালান তিনি। পার্বতী জানা নামে আর এক সংবর্ধনা প্রাপকের বাড়ি তমলুকের পুটপুটিয়া গ্রামে। তাঁর দু’টি হাতই নেই। তমলুকের একটি হোমে থেকে দু’পা দিয়ে ছবি আঁকেন পার্বতী। পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলের যশোমতী মাহাতো আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। দু’টি চোখেই দেখতে পান না তিনি। সুতাহাটার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশনে থেকে তাঁত বুনে সংসার চালান। শাল, ফুলের তোড়া, স্মারকে সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি এই তিন কৃতী মহিলাকে ১০ হাজার টাকা করে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেই দোল উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । তমলুক শহরের ধারিন্দা রেলগেট সংলগ্ন মাঠে বৃহস্পতিবার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোলাঘাট শহরের নতুনবাজার এলাকায় রাধামাধব জীউ মন্দির প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শুক্রবার মহোত্‌সব পালন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে কোলাঘাটের পাকুড়িয়া গ্রামে মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণে দোল উত্‌সব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহোত্‌সব পালিত হয়। এ দিন দুপুরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোলাঘাটের বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানব সামন্ত প্রমুখ। তমলুকের মহাশ্বেতা পানবাজার সংলগ্ন মাঠে স্থানীয় তরুণ সঙ্ঘের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের হোগলা গ্রামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নুন্নান গ্রামে গঙ্গাপূজা-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

midnapur holi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE