সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ‘সোশ্যাল অডিট টিম’ গড়ে প্রচারে উদ্যোগী হল মোহনপুর ব্লক প্রশাসন। সোমবার ২৫ জনকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাছাই করে দেওয়া হল প্রশিক্ষণ। এ দিন মোহনপুর বিডিও অফিসে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে ক্লাব সদস্যদের স্বেচ্ছাসেব হিসেবে বাছা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবেন।
একশো দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস, গীতাঞ্জলি, কন্যাশ্রীর মতো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। এই সব প্রকল্প বিষয়ে বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের ধারণা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ফলে অনেক প্রকল্পের সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। বহু ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই সচেতনতা প্রচারের উদ্যোগ। মোহনপুর ব্লকে আগেই একশো দিনের প্রকল্প বিষয়ে দরিদ্র পরিবারগুলিকে অবগত করার কাজ শুরু হয়েছিল। ‘সোশ্যাল অডিট টিমে’র মাধ্যমে এ বার অন্য প্রকল্প সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করা হবে। বিডিও সুলোক প্রামানিক বলেন, “আমরা চাই সর্বত্র উন্নয়ন। সেই কাজ করতে গেলে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এই ‘সোশ্যাল অডিট টিম’ সেই কাজটাই করবে। ওই দলের সদস্যদের প্রয়োজনে আরও প্রশিক্ষিত করা হবে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জনের দলটির সঙ্গে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হবে। সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি দলের সদস্যদের তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্লক প্রশাসনকে জানাতে হবে। কোনও একটি প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে যদি দেখা যায় সেই পরিবারে অন্য অসুবিধা রয়েছে, তা-ও সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ব্লকে সেই অসুবিধার কথা জানাতে হবে দলের সদস্যদের। যেমন, ইন্দিরা আবাস যোজনার খুঁটিনাটি বোঝাতে গিয়ে যদি দেখা যায় সেই বাড়িতে বধূ নির্যাতনের সমস্যা রয়েছে, তাহলে তা মীমাংসার চেষ্টা করতে হবে। ব্লকে বিষয়টি জানাতে হবে সোশ্যাল অডিট টিমকে। সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে দলের সদস্যরা প্রয়োজনীয় প্রস্তাবও দিতে পারবেন। তবে তা রূপায়ণের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি স্থানীয় প্রশাসনের।
প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ পাত্র বলেন, “আশা করছি এর মাধ্যমে গ্রামোন্নয়নের কাজে গতি আসবে।” সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্রের কথায়, “এই দলটি যদি প্রকৃত উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে তবে নিশ্চয়ই স্বাগত। কিন্তু দেখতে হবে যেমন দলবাজি না হয়।”
স্মারকলিপি। হস্টেল ফি একই রাখার দাবিতে সোমবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ বিভাগের ডিন জয়ন্তকিশোরী নন্দীর দফতরে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকার বলেন, “গত বছর দ্বিতীয় বর্ষের হস্টেল ফি ছিল ২,৭৩০ টাকা। দরিদ্র পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা এ বারও ওই ফি না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ দাবি মানবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy