প্রতিবাদী প্রমিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
পথে নেমে বেআইনি মদের ঠেক ভাঙলেন মহিলারা। সোমবার ঘাটাল মহকুমার নারায়নচক, বেউড়গ্রাম, সুলতানপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঠেক, মদ তৈরির দোকান, সরঞ্জাম নষ্ট করে দেন মহিলারা। খবর পেয়ে ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশও মদের ঠেক ভাঙার অভিযানে হাত লাগায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি চন্দ্রকোনা থানার খিরাটি গ্রামে মদ খেয়ে এক যুবক কুয়োয় পড়ে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় (৩৯) নামে ওই যুবক মদ খেয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় কুয়োয় পড়ে যান। ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকার মহিলা থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ খিরাটি গ্রামের সব ঠেকে ভেঙে তছনছ করে দেয়। রবিবার জাড়া শহরের বহু মহিলা এলাকার ষাটটির মতো ঠেক দোকান ভেঙে দেয়। এমনকী কেউ মদ বিক্রি করলে জরিমানা দিতে হবে, এই ফতোয়াও দেয়।
এ দিন ঠেক ভাঙার নেতৃত্বে থাকা প্রমীলা বাহিনীর অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক গজিয়ে উঠছে। অভিযোগ, পান দোকান থেকে মিষ্টির দোকানেও বিকোচ্ছে মদ। আরও অভিযোগ, মদ সহজলভ্য হওয়ায় বহু বাড়ির পুরুষেরা মদে আসক্তি তৈরি হচ্ছে। সংসারে অশান্তিও বাড়ছে। নানা টুকরো ঝামেলায় অশান্ত হচ্ছে এলাকাও। জাড়া গ্রামের মিনতি খাঁড়া, জয়ন্তী কোটালেরা ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, “রোজগারের সব টাকা যদি মদের ঠেকেই চলে যায় তা হলে সংসার চালাব কী করে? এর জেরে বাড়ির ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।” তাঁরা বলছেন, পুলিশ নিজে থেকে উদ্যোগী না হওয়ায় আমরাই সব ঠেকে ভেঙে নষ্ট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সোমবার সকাল থেকেই ঘাটাল থানার নারায়ণচক, সুলতানপুর, চন্দ্রকোনার বেউড়গ্রাম-সহ একাধিক গ্রামে মদের দোকানে অভিযানে নামেন সংলগ্ন গ্রামের বহু মহিলা। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন প্রায় শতাধিক ঠেক ভাঙা হয়। অনেক দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু জনের নামে মামলাও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy