আহতদের দেখতে হাসপাতালে বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটাল থানার নতুক এলাকার এই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ বিজেপি’র চার কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। তাঁদের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দলীয় কর্মীদের দেখতে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়। তুষারবাবু-সহ দলীয় নেতৃত্ব নতুক গ্রামেও যান। আক্রান্তদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তুষারবাবুর অভিযোগ, “ঘাটালের বিভিন্ন গ্রামে দলের সংগঠন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ভয় পেয়ে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করছে, হুমকি দিচ্ছে।”
পুলিশ ও বিজেপি সূত্রের খবর, দিন কয়েক ধরে নতুক এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। শনিবার সকালে গ্রামে তৃণমূলের বাইক বাহিনী ঢোকে। দুপুরের পরে লোক জড়ো করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির ঘাটাল মণ্ডল কমিটির সভাপতি স্বরূপ সামুই বলেন, “পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই দলীয় কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের বাহিনী। চলে মারধর। মহিলারাও রক্ষা পাননি।” মারধরে জখম হন সনাতন মালিক, ছায়া মালিক, পুষ্পিতা মালিক ও অশোক মালিক। সনাতন নতুক বুথের বিজেপি নেতা। ছায়াদেবী তাঁর মা আর পুষ্পিতা খুড়তুতো বোন। অশোক একই পাড়ার বাসিন্দা।
বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূল পরিকল্পত ভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার সময় ফোনে থানায় জানানো হলেও পুলিশ গ্রামে যায়নি। মারধরের পরে পৌঁছেছে।” হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কর বলেন, “তৃণমূলের এখনও এমন অবস্থা হয়নি যে বিজেপিকে ভয় পেয়ে হামলা চালাতে হবে। স্থানীয় বিবাদের জেরে একটা গণ্ডগোল হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” আর ঘাটাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়েই গ্রামে যাওয়া হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিরাও ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy