ট্রাক থেকে নির্মাণ সামগ্রী খালাস করা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হলেন। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের হাঁসচড়া বাজারে। আহতদের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল, উভয়পক্ষের পাঁচ জন করে সমর্থক রয়েছেন। তাঁদের সকলকে প্রথমে চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে পাঁচ জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সংঘর্ষের জেরে চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামগামী সড়কের হাঁসচড়া বাজারে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই বাজারে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এ দিকে, দুই দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিজেপি-তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুরের হাঁসচড়া বাজারের ব্যবসায়ী-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ট্রাকে ওঠানো-নামানোর কাজ করেন স্থানীয় কিছু শ্রমিক। তাঁদের একাংশ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, অন্যেরা বিজেপি’র সংগঠনের রয়েছেন। কয়েক বছর ধরে এই কাজে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আধিপত্য বজায় রাখলেও সম্প্রতি বিজেপি’র সংগঠনের শক্তি বেড়েছে। তার জেরেই এ দিনের সংঘর্ষ বলে স্থানীয়রা জানান।
এ দিন সকালে হাঁসচড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের একটি সিমেন্ট ও বালি বোঝাই ট্রাক আসে। সকাল ৯টা নাগাদ ওই দুই ট্রাক থেকে নির্মাণ সামগ্রী খালাসের জন্য বিজেপি’র সমর্থক একদল শ্রমিক সেখানে গিয়ে কাজ শুরুর চেষ্টা করেন। এ সময় তৃণমূলের সমর্থক একদল শ্রমিক সেখানে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের ওই কাজে আপত্তি জানায়। তখনই উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে মোট দশ জন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় সমর্থকেরা তাঁদের চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করায়। পরে পাঁচ জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি তপন করের অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকেরা দলীয় শ্রমিকদের উপর চড়াও হলে আমাদের সমর্থকরা প্রতিরোধ করে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আক্রমণে দলের পাঁচ সমর্থক আহত হয়েছেন।” চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy