Advertisement
E-Paper

বারোয়ারি লক্ষ্মী আরাধনায় জাঁক বেলদার গ্রামে

গ্রামে দুর্গা পুজো হয় না। শারদোৎসবের আমেজ উপভোগ করতে কয়েক কিলোমিটার দূরের বেলদাই ভরসা। তাই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে খামতি রাখতে চান না ওঁরা। তাই প্রতিবছরের মতো এ বারও ধনলক্ষ্মীর বন্দনায় মেতে উঠল নারায়ণগড়ের ব্লকের প্রত্যন্ত রসুলপুর ও আমদাবাদ গ্রাম। সারাবছরের অপেক্ষা শেষে ফিরে এসেছে কোজাগরী পূর্ণিমা। তাই ওই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগে বারোয়ারি লক্ষীপুজোর আনন্দ যেন ছাপিয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোকেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:২৭

গ্রামে দুর্গা পুজো হয় না। শারদোৎসবের আমেজ উপভোগ করতে কয়েক কিলোমিটার দূরের বেলদাই ভরসা। তাই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে খামতি রাখতে চান না ওঁরা। তাই প্রতিবছরের মতো এ বারও ধনলক্ষ্মীর বন্দনায় মেতে উঠল নারায়ণগড়ের ব্লকের প্রত্যন্ত রসুলপুর ও আমদাবাদ গ্রাম। সারাবছরের অপেক্ষা শেষে ফিরে এসেছে কোজাগরী পূর্ণিমা। তাই ওই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগে বারোয়ারি লক্ষীপুজোর আনন্দ যেন ছাপিয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোকেও।

বেলদা থেকে চার কিলোমিটার দূরে রসুলপুর গ্রামে গত ২৮ বছর ধরে সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজো করে আসছে স্থানীয় ‘হেল্পস্টার ক্লাব। প্রথমে খবরের কাগজ দিয়ে খেলার ছলে আড়াই ফুটের মণ্ডপ করে গ্রামে পুজো শুরু করেছিল কচিকাঁচারা। পরে গ্রামের যুবকেরাও তাদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে এলে পুজো অন্য রূপ পায়। এই মুহূর্তে ক্লাবের ৩৫ জন সদস্যের মধ্যে ন’জনই শিক্ষক। সদস্যদের থেকে উঠে আসা টাকাতেই এখন পুজোর আয়োজন হয়। এ বার ৩৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মণ্ডপ হয়েছে বাংলোর আদলে। এগরার শিল্পীর ছোঁয়ায় ন’ফুটের ধনলক্ষ্মীর মূর্তিতেও এসেছে বিশেষত্ব। পুজো উপলক্ষে আজ, বুধবারও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দুঃস্থ পড়ুয়াদের পুস্তক বিতরণেরও আয়োজন হয়েছে। পুজো কমিটির কর্মকর্তা পীযুষকান্তি প্রামাণিক বলেন, “সারা বছর আমাদের গ্রাম এই লক্ষ্মীপুজোর অপেক্ষায় থাকে। গ্রামের মেয়েরাও শ্বশুরবাড়ি থেকে এই পুজো উপলক্ষে বাড়ি আসে। সকলকে আনন্দ দিতে এ বার কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী আনার ব্যবস্থা করেছি।”

একইভাবে, দুর্গোৎসবের জাঁকজমক পৌঁছয় না তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত নারায়ণগড়ের প্রত্যন্ত আমদাবাদ গ্রামেও। তাই গত ১২ বছর ধরে ওই গ্রামের ‘উদীয়মান সঙ্ঘ’-এর কয়েকজন তরুণ লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে আসছেন। এ বার পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ছিলেন জেলা পরিকল্পনা কমিটির সদস্য মিহির চন্দ। দেড় লক্ষ টাকা বাজেটের ওই পুজোয় এ বার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। পুজো উপলক্ষে বাংলা ‘রিয়্যালিটি শো’-এর কিছু সঙ্গীতশিল্পীকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক সুজয় ঘোড়াই বলেন, “লক্ষ্মীপুজোই আমাদের বড় উৎসব। তাই এ বার পুজো একটু বড় করে করার চেষ্টা করেছি।”

kharagpur lakshmi pujo pujo belda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy