স্কুলে মিড-ডে মিল রাঁধুনি বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল, মেদিনীপুর সদর। মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় তাপস রাউত নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বধূটি। বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” বুধবার রাত পর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্ত ধরা পড়েনি।
ঘটনাটি ১২ অগস্টের। মহিলা জানান, তিনি শহরের যে এলাকায় থাকেন, সেখানে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের মিড-ডে মিলের রান্না যে স্কুলে হয়, সেখানে বছর ছ’য়েক কাজ করছেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে মিড-ডে মিলের দেখাশোনা করে বাড়মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা তাপস রাউত। বধূটির অভিযোগ, ১২ অগস্ট সে মিড-ডে মিল রান্নায় জড়িত অন্যদের বিভিন্ন স্কুলে খাবার দেওয়ার কাজে পাঠিয়ে দেয়। তার পরে জোর করে মহিলাকে স্কুলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বছর সাতাশের বধূটি জানান, ঘটনা জানালে তাঁকে কাজ থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দেয় তাপস। অনটনের কারণে তিনি প্রথমে মুখ বন্ধ রাখেন। তবে তাপসকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি, এর পরেও শারীরিক সম্পর্ক রাখার জন্য তাপস চাপাচাপি করছিল।
পুলিশি সূত্রের খবর, আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কায় স্বামীকে বিষয়টি জানান ওই মহিলা। ঘটনা জেনে স্বামী তো অবাক। মহিলা আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। শেষে পরিজনদের পরামর্শে মহিলা থানায় অভিযোগ জানান।
বহু চেষ্টা করেও এ দিন তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল বন্ধ ছিল। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, “তাপস ওয়ার্ড কমিটির তরফে মিড-ডে মিলের দেখাশোনা করত এবং সে জন্য মাসে সামান্য টাকা পেত। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পাওয়ার পরে ওকে এখানকার কাজ ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। ও ছাড়েনি।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, “মহিলার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘটনাটি জানানো হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy