কেশিয়ারিতে সন্ধ্যা রায়ের নির্বাচনী জনসভায়। নিজস্ব চিত্র।
শৈশবের কথা মনে করেই গ্রামবাংলার দুর্দশার কথা দিল্লির দরবারে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়। বুধবার সকালে কেশিয়াড়ি ব্লকের দু’টি এলাকায় জনসভা করেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তারকা প্রার্থী। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস, দাঁতন ২ ব্লক সভাপতি শৈবাল গিরি প্রমুখ।
কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম অঞ্চলের বারিদায় তৃণমূল প্রার্থীর প্রথম জনসভাটি হয়। শঙ্খধ্বনি দিয়ে, ফুল ছড়িয়ে তারকা প্রার্থীকে বরণ করে নেন দলীয় কর্মীরা। তারপর তিনি সভা করেন বাঘাস্তি অঞ্চলের খাড়িপাড়া মোড়ে। ওই সভায় যাওয়ার পথে সিংপাড়ায় আদিবাসী মহিলারা সন্ধ্যাদেবীকে তাঁদের হাতে বানানো শালপাতার মালা পরিয়ে দেন। সংবর্ধনা পেয়ে আবেগাপ্লুত সন্ধ্যা রায় বলেন, “এই গ্রামবাংলার মানুষেরা আমার আসার পথে এগিয়ে এসেছেন। আপনারা আমাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত।”
সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে সাইকেল মিছিল যুব তৃণমূলের। মেদিনীপুরে রামপ্রসাদ সাউয়ের তোলা ছবি।
ভোটে এবার চতুর্মুখী লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডার এলাকায় সাংগঠনিক ভিত মজবুদ থাকায় লড়াই যে কঠিন, আড়ালে তা মানছেন তৃণমূল নেতারাও। তবে তৃণমূলের দাবি, সারা বাংলায় তৃণমূলের যে জয়ের স্রোত চলছে, তাতে সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীরাই জয়ী হবেন। তাছাড়া মেদিনীপুর জয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনীত প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার উপরও ভরসা রাখছেন তারা। সভায় সন্ধ্যা রায় বলেন, “এই গ্রামবাংলার প্রকৃতি, পথঘাট আমায় খুব টানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি পাঠিয়ে আমাদের অধিকার বুঝে নিতে হবে। আমি আপনাদের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করছি। আপনাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে চাই।” এ দিন দাঁতন ২ ব্লকের জামবাড়, সাউরিবাজার, সাবড়া ও কেশরম্ভাতেও জনসভা করেন তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy