কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার হয়ে পুলিশ একতরফা কাজ করছে বলে ফের অভিযোগ তুলল শাসকদল। মিথ্যে মামলায় পুলিশ দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সবং বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের নির্বাচনী চেয়ারম্যান অমূল্য মাইতি। শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অমূল্যবাবুর বক্তব্য, “লোকসভা নির্বাচনের মুখে মানস ভুঁইয়া নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। তদন্ত না করেই সবংয়ের পুলিশ আমাদের শতাধিক কর্মীকে আদালতে পাঠাচ্ছে।” অমূল্যবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার শিসরাম ঝাঁঝোরিয়া বলেন, “প্রতিদিনই নানা অভিযোগ জমা পড়ছে। খোঁজ নিয়ে দেখে বলতে হবে।”
সবং হল মানসবাবুর খাসতালুক। এখানকারই বিধায়ক তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সবং পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে কংগ্রেস, জেতে একটি জেলা পরিষদের আসনে। সম্প্রনির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সবং পুলিশ সিআরপিসি-র ১০৭ ধারায় দুষ্কর্মে জড়িতদের আদালতে হাজির করার নোটিস জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের বহু কর্মী। সম্প্রতি সেই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে বুড়ালের পঞ্চায়েত প্রধান রফিক আলি সৈয়দ, বিষ্ণুপুরের প্রধান গুরুপদ মান্না, ভেমুয়ার প্রধান গজেন প্রধান, উপপ্রধান সাধন মাইতি-সহ তৃণমূলের ১৮৫ জনের কাছে। ওই নেতা-কর্মীদের আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই সরব হয়েছেন অমূল্যবাবু। তাঁর অভিযোগ, “লোকসভা নির্বাচনের আগে মানস ভুঁইয়া নিজেদের মতো করে ভোট করতে মিথ্যে মামলা করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে জেলাশাসক হয়ে অভিযোগ আসছে সবং থানায়। কিন্তু সবং পুলিশ সেগুলির তদন্ত না করেই আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রান করছে।” তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এই তৃণমূল নেতা।
পুলিশকে ব্যবহার করার অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন মানসবাবু। উল্টে তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের মদতে সবংয়ের ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস চালিয়ে ভোট করেছিল তৃণমূল। মানসবাবুর কথায়, “এ বার নির্বাচন কমিশন কড়া ভূমিকা নিয়েছে। আমরা কমিশনে পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছি। কিন্তু কোনও অভিযোগ করিনি।” এ বিষয়ে খড়্গপুরের এসডিপিও অজিত সিংহ যাদব বলেন, “পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন নেই। নির্বাচনী বিধি মেনেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy