Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মামলায় দেরি, আইসির বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ পুলিশ সুপারের

কেশিয়াড়ির সিপিএম নেত্রীকে মারধরের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মামলা রুজু করতে দেরি করায় কেশিয়াড়ি থানার আইসি প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছেন খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। এ নিয়ে বিস্তারিত না জানালেও বৃহস্পতিবার ভারতীদেবী বলেন, “ কেশিয়াড়ির ঘটনাটি জানার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪১
Share: Save:

কেশিয়াড়ির সিপিএম নেত্রীকে মারধরের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মামলা রুজু করতে দেরি করায় কেশিয়াড়ি থানার আইসি প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছেন খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। এ নিয়ে বিস্তারিত না জানালেও বৃহস্পতিবার ভারতীদেবী বলেন, “ কেশিয়াড়ির ঘটনাটি জানার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।”

ঘটনাটি গত সপ্তাহের। কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালামেটিয়া এলাকার। গত ২৪ জুলাই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের হাতে প্রহৃত হন গুরুবারি মুর্মু নামে বছর চল্লিশের এক মহিলা। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পাশাপাশি, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেশিয়াড়ি জোনাল কমিটির সহ- সভানেত্রীও। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের একদল লোক তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুবারি এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর তাঁর ভাই রমেশ মুর্মু কেশিয়াড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, উল্টে পুলিশ তাঁকে ডাকাতির মামলায় নাম জড়ানোর ভয় দেখায় বলে অভিযোগ।

প্রহৃত দলীয় নেত্রীর শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গত সোমবার মেদিনীপুরে আসেন সিপিএমের মহিলা সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভানেত্রী তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মালিনী ভট্টাচার্য। মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়ে তিনি গুরুবারির পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথাও বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ।

পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ কেশিয়াড়ি থানাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলে পুলিশেরই এক সূত্রে খবর। পুলিশ মামলা রুজু করে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়। মঙ্গলবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সজল প্রধান, ইন্দ্র টুডু এবং ভানি টুডু। ধৃত তিনজন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। জেলা পুলিশ সুপার মনে করেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে এ ক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত করা উচিত ছিল। অথচ, গোড়ায় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

investigation medinipur ic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE