বেআইনি মদ বিক্রি বন্ধে উদ্যোগী হল প্রশাসন। বুধবার ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কাপুরের নেতৃত্বে ঘাটাল থানার পুলিশ ও আবগারি দফতরের আধিকারিকরা ঘাটাল শহর-সহ থানা এলাকায় অভিযান চালান। প্রায় দশ হাজার লিটার দেশি ও বিদেশি মদ নষ্টের পাশাপাশি দেশি মদ তৈরির নানা সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দশ জনকে আটকও করা হয়েছে।
রাজনবীর সিংহ কাপুর জানান, মহকুমাজুড়ে বেআইনি মদ বিক্রি বন্ধে এ বার লাগাতার অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন, “সরকার অনুমোদিত দোকানগুলিও যাতে নির্দিষ্ট সময়ে খোলা ও বন্ধ হয়, সে দিকেও নজরদারি থাকবে।” এ দিনের অভিযানে মহকুমাশাসক ছাড়াও ছিলেন আবগারি দফতরের ডেপুটি পদ মর্যাদার আধিকারিক অশোক দে, অমলেশ মজুমদার, ঘাটাল থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ দিনের তল্লাশির খবর চাউর হতেই ঘাটাল-সহ মহকুমার একাধিক এলাকায় বেআইনি দোকান থেকে বিক্রেতারা দোকান বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে যান। ওসি সুদীপ ঘোষাল বলেন, “শহরের ধাবা এবং লজগুলিতেও এ বার নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে।”
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘাটাল মহকুমা এলাকার তিনটি থানা ঘাটাল, দাসপুর ও চন্দ্রকোনা এলাকায় বেআইনি মদ-ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। এই কারবার রুখতে ঘাটালে প্রমিলা বাহিনীও গড়ে উঠেছে। ওই বাহিনী ভাটিতে ভাটিতে গিয়ে ভাঙচুর চালানো থেকে শুরু করে ‘মদ খেলেই জরিমানা’ এমন ফরমানও চালু করেছে। তবে অভিযোগ, এত সব কিছুর পরেও কোনও ভাবেই এই বেআইনি ব্যবসায় লাগাম টানা যায়নি! প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মহকুমা জুড়ে ‘অন শপ’ (বসে খাওয়া) এবং ‘অফ শপ’ (শুধু বিক্রি) মিলিয়ে গোটা তিরিশেক দোকান রয়েছে। সরকার অনুমোদিত এই দোকানগুলি বাদে শুধু ঘাটালেই তিনশোরও বেশি জায়গায় মদ বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের একাংশের মত, এই সব তথ্য প্রশাসন থেকে আবগারি দফতরের অজানা নয়। কিন্তু পুলিশ ও আবগারি দফতরের একাংশের গোপন আঁতাত থাকায় দিনের পর দিন বহাল তবিয়তে চলছে সেগুলি। আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, “কড়া নজরদারি চালালেই এই সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। আমাদের দফতর ও একাংশ পুলিশকর্মী সব জেনে শুনেও চুপ থাকায় কারবার বেড়ে চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy