Advertisement
১১ মে ২০২৪

শালবনির সভায় যোগ দিতে আজ জেলায় সুব্রত বক্সী

আজ, বুধবার শালবনিতে আসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। জিন্দল গোষ্ঠীর ইস্পাত কারখানার সামনে একটি সভাতেও যোগ দেবেন তিনি। ইস্পাত কারখানার কাজ অবিলম্বে শুরু করা, জমিদাতাদের চাকরি, চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকেই কারখানার সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২২
Share: Save:

আজ, বুধবার শালবনিতে আসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। জিন্দল গোষ্ঠীর ইস্পাত কারখানার সামনে একটি সভাতেও যোগ দেবেন তিনি। ইস্পাত কারখানার কাজ অবিলম্বে শুরু করা, জমিদাতাদের চাকরি, চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকেই কারখানার সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। একই দাবিতে এ বার সেখানেই সভা করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “প্রথম থেকেই আমাদের দাবি ছিল, দ্রুত কারখানা চালু করতে হবে। জমিদাতাদের চাকরি দিতে হবে। তা নিয়ে আমরা আন্দোলনও করছি। এ বার সেই আন্দোলনে অংশ নিতেই রাজ্য সভাপতিও আসছেন।

গত ৩০ নভেম্বর কলকাতার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দল ঘোষণা করেছিলেন, কারখানার কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। ঘোষণার পর সোমবারই বিজেপি তড়িঘড়ি আন্দোলনে নামে। দ্রুত কারখানা চালু করা, জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার দাবিতে কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলবার একই দাবিতে আন্দোলনে নামে ডিওয়াইএফ-ও।

বৃহস্পতিবার প্রথম আন্দোলন শুরু করে জমিদাতারা। জমিদাতাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তৃণমূলও। যদিও সেদিন তৃণমূল সরাসরি দলীয়ভাবে বিক্ষোভ দেখায়নি। জমিদাতাদের সংগঠন ‘শালবনি জেএসডব্লিউ বেঙ্গল স্টিল লিমিটেড ল্যান্ড লুজার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যাজ পরেই বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। ওই দিনও তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরাসরি দলীয় প্রতীক নিয়ে আন্দোলনে নামা ঠিক হবে কিনা।

শুক্রবার সকালে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত মেলে যে, দলীয়ভাবে বিক্ষোভে নামতে হবে। শুরু হয়ে যায় সভার প্রস্তুতি। তৈরি হয় ধর্না মঞ্চও। যেখানে দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি-সহ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত হন। ওইদিনই ঘোষনা করা হয় যে, টানা সাতদিন ধর্নায় বসবে তৃণমূল।

অন্য দিকে, জমিদাতারাও লাগাতার ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তৃণমূল ও জমিদাতাদের ধর্না মঞ্চ ছিল অবশ্য আলাদা। আলাদা ভাবে দু’পক্ষেরই ধর্না চলছে। তারই মাঝে বিজেপিও অবস্থান বিক্ষোভে বসার কথা ঘোষণা করেছিল। যদিও পুলিশের অনুমতি না মেলায় তাঁরা কর্মসূচী রূপায়িত করতে পারনেনি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এবার সেই তৃণমূলের মঞ্চেই আসছেন দলের রাজ্য সভাপতিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE