মেদিনীপুরে সিপিএম নেত্রী। নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদীদের হাতে নিহত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার মেদিনীপুরে আসেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। এ দিন বৃন্দাদেবী যাঁদের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ছিতামনি সরেনও। বাড়ি লালগড়ের ধরমপুরে। ছিতামনিদেবীর ছেলে শালকু সরেন ২০০৯ সালে মাওবাদীদের হাতে প্রাণ হারান। এ দিন বৃন্দাদেবী যখন সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে পৌঁছন, তখন সেখানে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার। বৃন্দাদেবীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়।
পরে বৃন্দাদেবী বলেন, “এক সময় জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের অত্যাচার চলেছে। অনেকে মাওবাদীদের হাতে মারা গিয়েছেন। শহিদ পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতেই এখানে এসেছি। মাওবাদীদের হাতে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অনেকে আদিবাসীও। এ দিন শালকু সরেনের মায়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশেও দাঁড়ান সিপিএমের এই পলিটবুর্যো সদস্য। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা একেবারে ঠিক ভাবে আন্দোলন করছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নিগ্রহের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি এবং অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টার প্রতিবাদেই তো এই আন্দোলন। যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের উপর অত্যাচার হল, সেটাও তো নিগ্রহ। রাজ্য সরকার অপরাধীদের সঙ্গ দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের উচিত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা। পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না- হলে সর্বত্র ভুল বার্তা যাবে।”
যাদবপুরের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা জঘন্য ছিল বলেও মত বৃন্দাদেবীর। তাঁর কথায়, “যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা ঠিক ভাবে প্রতিরোধও করেছেন। নিগ্রহের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা যদি আন্দোলন না করতেন, তাহলে বরং জানতে চাইতাম, কেন ওঁরা আন্দোলন করছেন না।” সারদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারদার ঘটনায় তৃণমূলই জড়িত। গরিব মানুষের টাকা লুঠে যে তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে, তা স্পষ্ট।” সিবিআই তো রবিন দেবকেও তলব করেছে? বৃন্দাদেবীর জবাব, “উনি (রবীন দেব) তো বলেছেন, সিবিআইকে যা বলার বলবেন। সব রকম সহযোগিতাও করবেন। আমরা চাই সত্য সামনে আসুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy