Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সোনার দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি

সোনার দোকানে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক থানার প্রিয়ংবদা এলাকার ঘটনা। দোকান মালিক শেখ আবদুর রউফের অভিযোগ, তাঁর দোকান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে।

এই দোকানেই হয়েছে ডাকাতি।—নিজস্ব চিত্র।

এই দোকানেই হয়েছে ডাকাতি।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৬
Share: Save:

সোনার দোকানে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক থানার প্রিয়ংবদা এলাকার ঘটনা। দোকান মালিক শেখ আবদুর রউফের অভিযোগ, তাঁর দোকান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে দুর্গাচক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “অভিযোগ পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাচকের প্রিয়ংবদায় সোনার দোকান রয়েছে শেখ আবদুর রউফের। ওই দোকানের পাশেই রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান। রাতে সোনার দোকানে কেউ থাকতেন না। তবে মিষ্টির দোকানে রাতে থাকতেন ওই দোকানের কর্মী বাপি জানা নামে এক যুবক। বছর চব্বিশের বাপি জানা পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী তালা ভেঙে প্রথমে মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়ে। বাপির কথায়, “হঠাত্‌ দেখি সামনে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’জন। আমার পোশাক দিয়েই প্রথমে হাত-মুখ বেঁধে দেয় ওরা। আমাকে চিত্‌কার করতে বারণ করেছিল। আমার সামনে পাহারায় ছিল তিনজন। আমার মোবাইল আর টাকার বাক্স থেকেও দু’হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে ওরা। ” এরপরই পাশের সোনার দোকানে গিয়ে লুঠপাট চালায় ওই দুষ্কৃতীরা।

সোনার দোকানের মালিক শেখ আবদুর বলেন, “ভোরে পাশের মিষ্টি দোকানের মালিকের কাছ থেকে জানতে পারি, দোকানে ডাকাত পড়েছে। এসে দেখি, দোকানের দু’টো লোহার গেট ভাঙা। ৬০০-৭০০ গ্রাম সোনার গয়না, প্রায় তিন কেজি রুপোর গয়না, কিছু মূল্যবান পাথর, নগদ ২০ হাজার টাকা-সহ মোট প্রায় ২০লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” তিনি জানান, বছর সাতেক আগেও তাঁর দোকানে চুরির চেষ্টা করা হয়েছিল।

দুষ্কৃতীরা হঠাত্‌ পাশের দোকানের কর্মীকে বেঁধে রাখল কেন? পুলিশের অনুমান, সোনার দোকানে ভাঙচুরের আওয়াজ পেলে ওই যুবক যাতে না হাঁকডাক করতে পারেন, সেকারণেই তাঁকে প্রথমে বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তবে ঘটনার পর হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি কথা বলেন বাপি নামের ওই কর্মীর সঙ্গেও। ঘটনার পর থেকেই থমথম করছে পুরো এলাকা। আতঙ্কে রয়েছে এলাকার ব্যবসায়ীরাও। বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির হলদিয়া শাখার সম্পাদক মধুসূদন কুইল্যা বলেন, “এর আগে একই ভাবে গত বছর ব্রজলালচকে সোনার দোকানে চুরি হয়েছিল। আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছি। আমরা তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

haldia jewellery shop theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE