Advertisement
E-Paper

সিপিএম নেতার অপমৃত্যু, ধৃত পাঁঁচ তৃণমূল সমর্থক

সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য অজিত ভুঁইয়ার অপমৃত্যুর ঘটনায় ৫ তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রকোনার চাঁদুর এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। বুধবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু’জনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতার অপমৃত্যুর ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের পাঁচ সমর্থকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪৬

সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য অজিত ভুঁইয়ার অপমৃত্যুর ঘটনায় ৫ তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রকোনার চাঁদুর এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। বুধবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু’জনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতার অপমৃত্যুর ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের পাঁচ সমর্থকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের সভাপতি সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, “ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। কিন্তু, মৃতের পরিজনের তরফে দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।”

গত রবিবার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের চাঁদুর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে সিপিএম নেতা অজিত ভুঁইয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর-স্ত্রী ছায়া ভুঁইয়া সোমবার চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের গালিগালাজ এবং হুমকির জেরে অজিতবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। অজিতবাবুর ছেলে সুদীপ ভুঁইয়ার অভিযোগ ছিল, তাঁকেও হুমকি দিয়েছে শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরার অভিযোগ, “আমাদের নেতা অজিতবাবুকে দল ছেড়ে চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকতে হবে, না হলে তৃণমূল করতে হবে। এই হুমকি দিয়েছিল ওরা। গোটা ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছিল।” তৃণমূলের এক নেতাও মানছেন, “অজিতবাবু সিপিএম করলেও এলাকায় ভালো মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। গালিগালাজ, হুমকির ঘটনায় দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ।”

এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রকোনা থানারই হিজলি গ্রামে সিপিএম সমর্থকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই রাতে হিজলি গ্রামে ৩ মহিলা-সহ জনা কুড়ি সিপিএম সমর্থক দলীয় পতাকা টাঙিয়ে সভার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই তৃণমূলের বাহিনী তাঁদের উপর চড়াও হয়। জখম হন এক মহিলা-সহ ন’জন। আহতরা ক্ষীরপাই ব্লক ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিন জনের আঘাত গুরুতর। অভিযোগ পেয়ে রাতেই এক মহিলা-সহ পুলিশ ৩ তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করে। হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার তিন জনকেই ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক মহিলাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত এবং দু’জনকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দু’টি ঘটনাতেই পুলিশ পক্ষপাতিত্ব না করে অভিযুক্তদের ধরায় খুশি সিপিএম নেতৃত্ব।

পুড়ল দোকান। আগুনে পুড়ে ছাই হল চারটি দোকান। বুধবার বিকেলে দুর্গাচক থানা এলাকার প্রিয়ংবদা এলাকার ঘটনা। দমকল এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ghatal murder cpm leader
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy