Advertisement
E-Paper

সিপিএমের প্রচারে বাধা, অভিযোগে সরব রবীন

নানা নানা অজুহাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে সিপিএমের ভোট প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে রবিবার তমলুকে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৬
জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রবীন দেব। ছবি: পাথর্প্রতিম দাস।

জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রবীন দেব। ছবি: পাথর্প্রতিম দাস।

নানা নানা অজুহাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে সিপিএমের ভোট প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে রবিবার তমলুকে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব।

দলের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রবীনবাবুর অভিযোগ, “২৯ এপ্রিল খেজুরির বীরবন্দরে কাঁথি লোকসভার বাম প্রার্থী তাপস সিংহের সমর্থনে সভার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খেজুরি থানার পুলিশ হঠাত্‌ জেলা নেতৃত্বকে ফোন করে জানিয়েছে, ওই দিন একই স্থানে সকাল ৮টা থেকে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সভার কর্মসূচি আছে। তাই সকাল পৌনে ৮টার মধ্যে আমাাদের প্রচার সভা শেষ করতে হবে।”

কাঁথি উত্তর কেন্দ্রের ডুমুরগেড়িয়া এলাকায় দলীয় প্রচার গাড়িতে তৃণমূল সমর্থকদের হামলার অভিযোগ তুলে রবীনবাবু বলেন, “আগামী ২৮ এপ্রিল কাঁথির খাসমহলে বাম প্রার্থীর সমর্থনে সূর্যকান্ত মিশ্রের সভার জন্য প্রচারের অনুমতি নেওয়া আছে। রবিবার সকালে সভার সমর্থনে প্রচারের কাজে যাওয়া গাড়িতে তৃণমূল সমর্থকরা হামলা চালায়। লোকাল কমিটির সম্পাদক আশিস গিরি আহত হন।” তিনি অভিযোগ করেন, “এর আগেও গত ৬ মার্চ তমলুকের নেতাজিনগরে সূর্যকান্ত মিশ্রের সভার জন্য অনুমতি চাওয়া সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের একাংশ আমাদের প্রচার সভার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

রবীনবাবু নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইতিবাচক। কমিশনে সমস্যার কথা জানিয়েছি।”

লক্ষ্মণ শেঠকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কারের পর তাঁর সঙ্গে দলের কেউ যাতে সম্পর্ক না রাখে সেজন্য দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন। এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে রবীনবাবু বলেন, “আমাদের দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরও কেউ শৃঙ্খলা মেনে দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি, এমন নজির আছে। কিন্তু লক্ষ্মণবাবু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর নিয়মিত যেভাবে দক্ষিণপন্থী দলের হয়ে মুখ খুলেছেন, তৃণমূলের প্রশংসা করেছেন তা বামপন্থার সঙ্গে কোনভাবেই মেলেনা।” তিনি আরও বলেন, “বামপন্থী মানুষজন বুঝতে পারছেন এটা আমাদের দলের আদর্শের পরিপন্থী। তাই তাঁর সঙ্গে কোনওপ্রকার সংস্রব না রাখার জন্য দলের সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেউ যদি বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

election campaign left purba medinipur rabin deb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy