Advertisement
E-Paper

সিপিএম সমর্থকদের মারধরের নালিশ

হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ায় সিপিএম সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার পটাশপুর ১ ব্লকের নয়াচক গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, বুধবার রাতে মনসাতলা বাজার থেকে সিপিএম সমর্থক সুধাকৃষ্ণ মান্না, মধুসূদন মান্না, নিমাই মান্না ও দ্বিজেন্দ্রনাথ মান্নাকে তৃণমূলের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৪ ০১:৪৮
এগরা হাসপাতালে জখম সিপিএম সমর্থক। ছবি: কৌশিক মিশ্র।

এগরা হাসপাতালে জখম সিপিএম সমর্থক। ছবি: কৌশিক মিশ্র।

হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ায় সিপিএম সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার পটাশপুর ১ ব্লকের নয়াচক গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, বুধবার রাতে মনসাতলা বাজার থেকে সিপিএম সমর্থক সুধাকৃষ্ণ মান্না, মধুসূদন মান্না, নিমাই মান্না ও দ্বিজেন্দ্রনাথ মান্নাকে তৃণমূলের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বুধবার রাতে মনসাতলার এক দলীয় সভায় খবর আসে, পটাশপুর ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সূর্যশঙ্কর বেরার বাড়িতে কে বা কারা চড়াও হয়েছে। ওই ঘটনায় উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকেরা মনসাতলা বাজারের কাজে সিপিএম সমর্থকদের ঘেরাও করে। পরে বচসা ও সামান্য ঠেলাঠেলি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফের তৃণমূলের লোকেরা ওই বাজারের কাছেই দ্বিজেন্দ্রনাথবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দ্বিজেন্দ্রনাথবাবুকে পটাশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি জানান, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা ভোট দিতে পারিনি। এবার ভোট দিয়েছি। তাই এভাবে আমাদের মারধর করা হল। এরপর সিপিএম করলে হাত-পা ভেঙে বাড়িতে ফেলে রাখারও হুমকি দেয় ওঁরা।”

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহের অভিযোগ, “ভোটের আগেই তৃণমূলের লোকেরা আমাদের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট না দেওয়ার হুমকি দেয়। হুমকি উপেক্ষা করে তারা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের লোকেরা দলীয় সমর্থকদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।” ওই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে তাপসবাবু বলেন, “ওঁরা থানায় অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না। পুলিশ এমনিতেই শাসক দলের কথা শুনে চলে। তবে থানায় অভিযোগ করা হবে।”

পটাশপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজি বলেন, “ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সিপিএম হিংসা ছড়াবার চেষ্টা করছে। আসলে এরা সিপিএমের হার্মাদ। মনসাতলায় আমাদের সমথর্কদের সঙ্গে ওদের বচসা হয়। পরে সিপিএমের লোকেরা সূর্যশঙ্কর বেরার বাড়িতে চড়াও হয়। তারপরই দলীয় সমর্থকেরা ওদের ঘিরে ধরে। তখনই সামান্য ঠেলাঠেলি হয়ে থাকতে পারে। এর বেশি কিছু ঘটেনি।” পটাশপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌখিকভাবে ফোনে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কিছু দেখতে পায়নি। তবে ওই ঘটনার বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

egra cpm supporters beat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy