পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর গ্রামের মহিলার। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
খাস জমিতে এক ব্যক্তির বাড়ির দখল ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার মুড়াইল গ্রামের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আট জন। ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি গেলে তার উপরও হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি-চার্জ করে পুলিশ। জখমদের মধ্যে দুই মহিলা-সহ ৫ জন তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “একটি খাস জমির দখল নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৬ জনকে ধরা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার মুড়াইল গ্রামে মেদিনীপুর ক্যানেলের ধারে সেচ দফতরের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করেছিলেন নুর মহম্মদ গায়েন নামে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, এই নিয়ে তাঁর পরিবারের আত্মীয় তথা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ আলতাফের বিরোধ চলছিল। তাঁরা দু’জনই তৃণমূল সমর্থক। মাস খানেক আগে শেখ আলতাফ ওই বাড়িটি দখল করে সেখানে দলীয় অফিস খুলে ছিল। বুধবার বিকেলে ওই দলীয় অফিসের দখল নিয়ে নুর মহম্মদের পরিবারের সঙ্গে আলতাফের একপ্রস্থ গোলমাল বেধেছিল। তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল দু’পক্ষই।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ নুর মহম্মদের কয়েকজন আত্মীয় ওই অফিসে থাকা কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকের উপর হামলা চালায়। তখনই সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের। জখম হন কয়েকজন গ্রামবাসী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে একটি গাড়িতে করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমানের। তিনি বলেন, “নুর সেচ দফতরের জায়গা দখল করে একটি বাড়ি তৈরি করেছিল। তা নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে ওর বিরোধ ছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy