স্টেশন ও টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরির দাবিতে কর্মসূচি ছিল এসএফআই এবং ডিওয়াইএফের। কথা ছিল রেললাইনের ধারে সভা হবে। কিন্তু শনিবার বিকেলে লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংগঠনের একাংশ কর্মী-সমর্থক। সেই সময় আসা এক্সপ্রেস ট্রেন না দাঁড়ানোয় বিপত্তি ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তমলুক-দিঘা রেলপথের চণ্ডীপুরে। দ্রুত সরতে গিয়ে লাইনের ধারে ছিটকে পড়ে অল্পবিস্তর জখম হলেন ১২ জন বিক্ষোভকারী। এর মধ্যে পড়ে চণ্ডীপুরের গোমুঠা গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ ঘোড়াইও পায়ে চোট পান। তিনি তখন লাইন পেরোচ্ছিলেন। তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তমলুক-দিঘা রেলপথে লবণ সত্যাগ্রহ (কাণ্ডপশরা) ও দেশপ্রাণ (বাজকুল)-এর মাঝে চণ্ডীপুরে স্টেশন এবং দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ গড়ার দাবিতে এ দিন বিকেলে চণ্ডীপুর বাজারের কাছে কালিকাখালিতে কর্মসূচি ছিল সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের। প্রায় তিনশো জন বিকেল ৪টা নাগাদ সেখানে জড়ো হয়। ছিলেন রেলের দুই আধিকারিক এবং পুলিশ। এসএফআই ও ডিওয়াইএফ নেতাদের দাবি, রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দিঘা-হাওড়াগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস ছেড়ে দেওয়া হয়। সওয়া পাঁচটা নাগাদ হাওড়া-দিঘাগামী কাণ্ডারী এক্সপ্রেস পাঁচ মিনিটের জন্য অবরোধস্থলে দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি দাঁড়ায়নি। দ্রুত বেগে ট্রেন আসছে দেখে রেললাইনে বসে থাকা বিক্ষোভকারীরা প্রথমে চিৎকার করেন, তারপর ঝাঁপ দিয়ে পাশে সরে যান। কয়েকজন জখম হন। এরপর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে এসএফআই ও ডিওয়াইএফ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসএফআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েকের অভিযোগ, “রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা ওখানে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কথামতো ট্রেন না দাঁড়ানোয় আমরা চমকে যাই। কোনওমতে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।” রেলের আধিকারিক ও স্থানীয় পুলিশকে কর্মসূচির কথা আগাম জানানো হয়েছিল বলেও পরিতোষের দাবি। তমলুকের আরপিএফের আইসি জয়প্রকাশ যাদব অবশ্য বলেন, “সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অবরোধের অনুমতি ছিল না। ফলে, ট্রেন দাঁড়ানোর প্রশ্নই নেই। বরং হঠাৎ করে ট্রেন থামিয়ে দিলে বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত।” গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। রাতে মেলা থেকে ফেরার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল এক যুবকের। পেশায় হোটেলকর্মী মৃত যুবকের নাম সুকুমার ঘোষাল (২৬)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইঁদপুর থানার পুয়াড়া গ্রামে। শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান-মানবাজার রাস্তায় পাথরমহড়া গ্রামের কাছে। বোরো থানার কুমারী গ্রামের টিলায় ৬ অক্টোবর থেকে তিনদিনের সৃজন উৎসব চলছে। মানবাজার-পুরুলিয়া রাস্তার ধারের একটি হোটেলের ৬ জন কর্মী অটো ভাড়া করে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। রাত আড়াইটের সময় ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে অটোটি উল্টে যায়। হোটেলের ম্যানেজার সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনায় আমার মাথায় চোট লেগেছে। যারা সঙ্গে ছিলেন তাঁরাও আঘাত পেয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy