আর এক সপ্তাহ বাকি তমলুক ও কাঁথি লোকসভা আসনে ভোট-গ্রহণের। তার আগে জোরকদমে ভোট-প্রচার চালাচ্ছেন ডান-বাম সবদলের প্রার্থীরাই।
তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ও কাঁথির প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে গত শনিবার নন্দীগ্রামে জনসভা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তমলুক কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি, কাঁথির সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহের সমর্থনে রবিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে জনসভা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কয়েক দিন আগেই নন্দকুমারে জনসভা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। ভোট গ্রহণের আগে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট প্রচারের জন্য পথে নেমে প্রচার চালাচ্ছেন ডান-বাম শিবিরের প্রার্থীরা।
শুভেন্দু সোমবার সকালে ভোট-প্রচারে যান মহিষাদলের দ্বীপ গ্রাম মায়াচরে। সেখানে সভা করে প্রচার চালান তিনি। বিকেলে তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুরে সভা করেন শুভেন্দুবাবু। এ দিন শুভেন্দুবাবুর সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেলের সদস্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর থেকে নিমতলা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করেন। এ দিন বিকেলে শুভেন্দুবাবুর সমর্থনে তমলুকের নোনাকুড়ি বাজারে সভা করেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
অন্য দিকে, সোমবার সকাল থেকেই পায়ে হেঁটেই তমলুক শহরে প্রচার চালান সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি। এ দিন সকালে ইব্রাহিম-সহ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তমলুক শহরের বড়বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভোট-প্রচার চালান। এরপর বড়বাজার থেকে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় হেঁটে প্রচার করেন। তমলুক কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আনোয়ার আলি এ দিন সকালে তমলুক শহরের মানিকতলায় পায়ে হেঁটে দোকানে ও বাড়িতে গিয়ে প্রচার চালান।