Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Asaduddin Owaisi

বঙ্গের ভোট প্রস্তুতিতে ভিন্‌ রাজ্যের মিমের বিধায়করা পর্যবেক্ষক, জমি দেখবেন তাঁরা

প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা বাংলাকে তেমন ভাবে চেনেনই না, তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে কতটা লাভবান হতে পারবে মিম?

মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:০৭
Share: Save:

বঙ্গের ভোটে ঘর গোছানোর কাজ আগেই শুরু করেছিল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম) বা ‘মিম’। এ বার সেই প্রক্রিয়ায় গতি আনতে কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল তারা। গত ৩ জানুয়ারি হুগলির ফুরফরা শরিফে এসে মিম প্রধান ওয়াইসি ফুরফুরার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির উপর তাঁর আস্থাজ্ঞাপন করে জোটের কথা ঘোষণা করে গিয়েছেন। তবে আব্বাসের সঙ্গে জোট করেই বসে নেই মিম। রাজ্যে বিভিন্ন ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি এ বার ভোটে লড়াই করার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ‘মিম’ মূলত তেলঙ্গানা-কেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু সম্প্রতি বিহারের নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছে তাঁরা। তার পরেই বঙ্গের রাজনীতিতে আগ্রহ দেখানো শুরু করেন ওয়াইসি। একুশের ভোটে লড়াই করতে তেলঙ্গানার নেতাদেরই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেলঙ্গনার নামপল্লির বিধায়ক জাফর হুসেন এবং এফেন্দির বিধায়ক মির্জা রিয়াজ উল হাসানকে। মুর্শিদাবাদ, বীরভুম ও নদিয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহার মিমের যুব সভাপতি আদিল হাসান ও বিহারের আমোরের বিধায়ক আখতার উল ইমানকে। উত্তরবঙ্গের চার জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহারের জোকিহাটের বিধায়ক শাহনাওয়াজ ও কোচাদ্ধোমানের বিধায়ক হাজি মহম্মদ ইজহার আসফিকে। মালদহের দায়িত্ব পেয়েছেন বিহারের বাইসির বিধায়ক সঈদ রুকনুদ্দিন আহমেদ ও বাহাদুরগঞ্জের বিধায়ক অঞ্জর নঈমিকে।

কিন্তু বিহার ও তেলঙ্গানারা বিধায়কদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার পর প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা বাংলাকে তেমন ভাবে চেনেনই না, তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে কতটা লাভবান হতে পারবে মিম? যার জবাবে রাজ্যে মিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জামিরুল হাসান বলেছেন, ‘‘দলের শীর্ষনেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গে নিরপেক্ষ রিপোর্ট পেতে চান। কারণ, আমরা সব আসনে লড়াই করতে পারব না। তাই এই সমস্ত বিধায়করা জেলায় জেলায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করবেন। তার পর তা শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দেবেন। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করেই কোথায় কোথায় প্রার্থী দিয়ে লড়াই করা যাবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সর্বোচ্চ নেতা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE