আসাদাউদ্দিন ওয়াইসি। ফাইল ছবি।
একুশের ভোটে বাংলায় নতুন জোটসঙ্গী খুঁজছে আসাদাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম। আসন্ন নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের কথা গত ৩ জানুয়ারি ফুরফরা শরিফেই এসে জানিয়ে গিয়েছেন মিম প্রধান ওয়াইসি। কিন্তু কেবল আব্বাসের সঙ্গে জোটের আশাতেই বসে নেই অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের(মিম) বাংলা শাখা। সংখ্যালঘু মুসলমানদের পাশাপাশি, তাদের টার্গেট তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি তথা দলিত সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যে বেশকিছু সংগঠনের সঙ্গে জোটের বিষয়ে আলোচনা অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যে মিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জামিরুল হাসান।
জামিরুল বলেছেন, ‘‘জাতীয় স্তরের দলিত নেতা ওম্যান মেশরামের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি একাধিক দলিত সংগঠন নিয়ে সারা ভারত জুড়ে কাজ করেন। আমরা বাংলায় তাঁর সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতেই পারি।’’ মূলত পাঁচটি দলিত সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে ভারত জুড়ে কাজ করেন মেশরাম। বিএমিসিইএফ, ভারত মুক্তি মোর্চা, রাষ্ট্রীয় মূলনিবাসী সঙ্ঘ, রাষ্ট্রীয় মূলনিবাসী বহুজন কর্মচারী সঙ্ঘ ও বহুজন ক্রান্তি মোর্চার মতো সংগঠন নিয়ে তিনি এ রাজ্যে মিমকে সমর্থন দেবেন বলে দাবি করেছেন জামিরুল। কলকাতায় এসে বাংলার মিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে গিয়েছেন মেশরাম। এ ছাড়াও দলিতদের সংগঠন ভীম আর্মির সঙ্গেও তাঁদের নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ঘুঁটি সাজাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদের প্রাক্তন মেয়র মজিদ হোসনকে। মিমের পক্ষে তিনি প্রতি সপ্তাহে কলকাতায় এসে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি, চুপিসারে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় গিয়েও কর্মসূচি করছেন। সপ্তাহান্তে তিনদিন করে বাংলার ভোটে মজিদ হোসেনকে সময় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ওয়াইসি। আব্বাসের দলের সঙ্গে যেমন জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করবে মিম। পাশাপাশি, দলিত সংগঠনগুলিকে কাছে টেনে বাংলায় শক্তপোক্ত ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করাই আপাতত লক্ষ্য মিমের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy