মানবিক মুখ দেখা গেল কারা দফতরের। আলিপুর জেলে মৃত এক বিচারাধীন বন্দির দেহ টাকার অভাবে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছে না তাঁর পরিবার। বিভাগীয় মন্ত্রীর নির্দেশে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কারা দফতর।
নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে এক বছর ধরে জেলে ছিলেন মালদহের মাধাইপুর ভাতারপাড়ার বাসিন্দা বুদ্ধু সাহা। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না-থাকায় তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান মৃতের মেয়ে কাঞ্চন। সাহায্যের আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে বাবার দেহ মালদহে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’’ তখনই মৃতের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘মৃতদেহ মালদহে পৌঁছে দিতে সব রকম সহায়তা করা হবে।’’
মন্ত্রীর উদ্যোগে মৃতদেহ ফেরানোর ব্যবস্থা হলেও প্রশ্ন উঠছে মৃত্যুর কারণ নিয়ে। এবং সেই প্রশ্ন তুলেছেন মৃতেরই স্ত্রী উষা সাহা। তিনি বলেন, ‘‘১৬ মার্চ মামলার শুনানির সময়ে উনি সুস্থই ছিলেন। তা হলে হঠাৎ কী এমন হল যে, উনি মারা গেলেন?’’ এই প্রশ্নের সদুত্তর এ দিন মেলেনি।
এ দিনই সুপ্রকাশ বসু (৬১) নামে দমদম সেন্ট্রাল জেলের এক বন্দি আরজি কর হাসপাতালে মারা যান। বধূ-হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল রাজারহাটের বাসিন্দা সুপ্রকাশবাবুর। জেলের খবর, অসুস্থতার জন্য প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এ দিন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy