ভারী শিল্প মন্ত্রকে নতুন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা।
সদ্য দক্ষিণ আমেরিকা থেকে গানের অনুষ্ঠান সেরে ফিরেছেন। পুজোর গানও রেকর্ড করছেন। সামনের মাসেই বিয়ে। তার তোড়জোরও চলছে জোরকদমে। এ সব কিছুর মধ্যেই আজ নতুন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে ভারী শিল্পে বদলিতে অবশ্য স্বস্তি একটাই। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে পারবেন। নিজের কেন্দ্র আসানসোলের শিল্প-তালুকের জন্যও ঢেলে কাজ করতে পারবেন। এ রাজ্যে শিল্পায়ন হয় না বলে পশ্চিমবঙ্গের বদনাম রয়েছে। এই অবস্থায় বাবুল মনে করেন, ভারী শিল্পের প্রতিমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের জন্য আরও কাজের সুযোগ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সব অর্থই রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ মানুষ আঙুল তুলত আমাদের দিকে। কিন্তু কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়ে নীতি রূপায়ণ ছাড়া আর কোনও ভূমিকা আমার ছিল না। নিজের কেন্দ্র আসানসোলকে স্মার্ট সিটি করার অধিকারও আমার হাতে ছিল না। সেটিও রাজ্যের অধিকারে।’’ বাবুলের আশা, ‘‘অন্তত ভারী শিল্প মন্ত্রকে এসে সরাসরি রাজ্যের জন্য কাজ করা যাবে।’’
বিজেপি সূত্র বলছে, গত সপ্তাহের রদবদলের সময়েই প্রধানমন্ত্রী ভেবে রেখেছিলেন, জি এম সিদ্ধেশ্বরাকে সরিয়ে বাবুলকে ভারী শিল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিজেপির অনেকে অবশ্য মনে করছেন, শিবসেনার সঙ্গে এমনিতেই বিস্তর টানাপড়েন চলছে বিজেপির। এ বার রদবদলে শিবসেনার কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণেও কাউকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাবুলকে শিবসেনা মন্ত্রীর অধীনে রেখে ভারী শিল্পে আরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলেন মোদী।
আর বাবুল? রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে এর আগেও বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছিলেন তিনি। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর অনেকটা তাঁর প্রচেষ্টাতেই গতি পেয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গই তাঁর পাখির চোখ। আরও কাজ করে প্রমাণ করে দিতে চান, প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পূরণে কোনও ফাঁক রাখবেন না। প্রথম দিনই মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। সপ্তাহের শেষে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় একটি প্রকল্পে সামিল হবেন। থাকবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বৈঠকেও।
বাবুলের মন্ত্রক বদলের খবর পাওয়ার তাঁকে ফোন করেছিলেন তাঁর পুরনো মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। শুভেচ্ছার ফাঁকে রসিকতা গুঁজে দিয়ে তিনি বাবুলকে বলেছেন, ‘‘তোমার বিয়ে তো ৯ অগস্ট। সে দিন কিন্তু ক্রান্তি দিবস!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy