নিজস্ব চিত্র
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার একাধিক দৃষ্টান্ত সামনে রেখেই এ বার শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। রবিবার নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ মাঠের একটি সভায় সৌমেন বলেন, ‘‘বিজেপি-তে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের মুখে তাঁর হাত ধরে যাঁরা বিজেপি-তে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে তৃণমূলে ফিরছেন। শেষ পর্যন্ত একাকিত্ব নিয়ে তিনি বিজেপি-তে থাকবেন, নাকি তৃণমূলে ফিরবেন, সেটাই এখন দেখার’’।
রবিবার নন্দীগ্রামের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে 'অপব্যবহার'-এর অভিযোগে সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সৌমেন মহাপাত্র, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু, অখিল গিরি প্রমুখ। এক ধাপ এগিয়ে সৌমেন বলেন, ‘‘শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার আসন এখন টলমল করছে। কারণ সবাই যদি বিজেপি ছেড়ে চলে আসেন, তখন একা শুভেন্দুবাবু বিরোধী দলনেতার পদ হারাবেন। বিশেষ করে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা যে ভাবে কমছে, তাতে যে কোনও সময় তারা ৩০-এ নেমে আসতে পারে। তখন সংবিধান অনুযায়ী শুভেন্দু আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।’’ পাশাপাশি শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে সৌমেন বলেন,‘‘একা শুভেন্দু তখন বিজেপি-তে থেকে আর কী করবেন? তবে উনি তৃণমূলে আসতে চাইবেন কি না, সেটা সময়ই বলবে।’’
নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। তা নিয়ে মামলাও হয়েছে। সেই কথা উল্লেখ করে সৌমেনের উক্তি, ‘‘শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার পদ যে আসনে জেতার জন্য হয়েছে, সেই নন্দীগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেখানে যদি মমতা জেতেন, তা হলেও নন্দীগ্রামে উপনির্বাচন হতে পারে। এর জেরেও তিনি নিজের পদ হারাতে পারেন।’’
তবে সৌমেনের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। প্রলয়ের বলেছেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও মাথা উঁচু করে ভোটে জিতেছেন তিনি। তিনি নন্দীগ্রাম-সহ যেখানেই যান, মানুষের ঢল নামে সেখানে। আগামী দিনে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের জন্য পথ দেখাবেন শুভেন্দুই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy